Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তফসিল ঘোষণা থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।

বৃহ্স্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভিশন ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই বলে আবারও সাফ কথা জানিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটাকে আবার রিভিজিট করে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩০ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে শুধু আমি একটা কথাই বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার অধিকার তাদের আছে। আর তত্ত্বাবধায় সরকার নিয়ে একটি বিষয় আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, সেটা হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটাকে আবার রিভিজিট করে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ছোট হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে যান। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটা করেছেন, তার কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করেছেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন, বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।

আনসারদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে বলে শোনা গেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছে যে, এসব কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেয়া হচ্ছে না। এ আইনটা নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন ছিল, সেসব ব্যাপার দেখা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর যে বক্তব্য, সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই এ আইনটা পাস করা হবে।

আইনটিতে বলা হয়েছে, কোনো অপরাধ যদি আনসার বাহিনীর সামনে ঘটে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অপরাধীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারবে। এমন বিষয় তুললে তিনি বলেন, ‘আমি যেটা জানি, কিছু কিছু জায়গায়, যেখানে প্রশ্ন ছিল, সেটা যখন স্থায়ী কমিটিতে যাবে, সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আবারও ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

তফসিল ঘোষণা থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।

বৃহ্স্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভিশন ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই বলে আবারও সাফ কথা জানিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটাকে আবার রিভিজিট করে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩০ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে শুধু আমি একটা কথাই বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার অধিকার তাদের আছে। আর তত্ত্বাবধায় সরকার নিয়ে একটি বিষয় আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, সেটা হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটাকে আবার রিভিজিট করে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ছোট হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে যান। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটা করেছেন, তার কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করেছেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন, বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।

আনসারদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে বলে শোনা গেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছে যে, এসব কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেয়া হচ্ছে না। এ আইনটা নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন ছিল, সেসব ব্যাপার দেখা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর যে বক্তব্য, সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই এ আইনটা পাস করা হবে।

আইনটিতে বলা হয়েছে, কোনো অপরাধ যদি আনসার বাহিনীর সামনে ঘটে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অপরাধীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারবে। এমন বিষয় তুললে তিনি বলেন, ‘আমি যেটা জানি, কিছু কিছু জায়গায়, যেখানে প্রশ্ন ছিল, সেটা যখন স্থায়ী কমিটিতে যাবে, সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।’