বিনোদন ডেস্ক :
প্রায় দুই দশক ধরে নিজেকে ঢালিউডের সবুজ নায়িকা হিসেবে শক্ত আবস্থান তৈরি করেছেন পূর্ণিমা। ২৫ বছর আগের প্রথম সিনেমা ‘এ জীবন তোমার আমার’-এ যেমন দেখতে ছিলেন, এখনো যেন ঠিক তেমন কিশোরীই আছেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলা সিনেমার তন্বী অভিনেত্রী পূর্ণিমার ৪২তম জন্মদিন। পরিচালক জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন পূর্ণিমা।
ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে অনেক আগেই জয় করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়।
১৯৮৪ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী। তার শৈশব কাটে সেখানেই। পূর্ণিমা নামে দর্শক পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম দিলারা হানিফ রীতা। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আলাদা আকর্ষণ অনুভব করায় ক্লাশ নাইনে পড়ার সময় সিনেমা জগতে অভিনয় শুরু করেন।
মাঝের বেশ কিছু সময় চলচ্চিত্রে না থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে পাওয়া গেছে নিয়মিত। কখনো উপস্থাপনায়, কখনো নাটকে। বর্তমানে সিনেমায় খুব একটা নিয়মিত নন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় ‘জ্যাম‘ ও ‘গাঙচিল’ নামের দুটি সিনেমা রয়েছে। দুটি সিনেমাই পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। মানসম্মত যে কোনো কাজের প্রতিই তার বেশ আগ্রহ। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বারবার বলেছেন যে, মনের মতো গল্প না পেলে প্রস্তাবে সাড়া দেবেন না।
প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে পূর্নিমা বলেন, শুধু আমি কেন, দর্শকও এখন ভালো গল্প চান। ভালো গল্প হলে দর্শকরা অবশ্যই প্রেক্ষগৃহে ও টিভির সামনে বসবেন। যেসব সিনেমার গল্প স্ট্রং, সেসব সিনেমা দেখতে এখনো দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেন।’ জন্মদিনে মধ্যরাত থেকেই শুভেচ্ছাবার্তা জানাবেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বিশেষ এই দিনের মতো করেই সবার ভালোবাসা, আন্তরিকতা এবং দোয়ায় সুন্দর সুন্দর কাজ করে যেতে চান তিনি।
১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন তিনি। প্রথম সিনেমাতেই তিনি নায়ক হিসেবে পান রিয়াজকে। এরপর রিয়াজের বিপরীতে অনেক সিনেমা দিয়েই তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পান।
পরিচালক মতিউর রহমান পানুর ‘মনের মাঝে তুমি’পূর্ণিমা অভিনীত প্রথম সফল সিনেমা । ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার গানগুলোও খুব আলোচিত হয়েছিল। খ্যাতিমান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত সাহিত্যনির্ভর সিনেমা ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’য় অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা।
এসএ হক অলিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমাটি মুক্তির পর আলোচিত হয়। এছাড়া তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘মেঘলা আকাশ’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রী যুদ্ধ’, ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘হৃদয়ের কথা’ ইত্যাদি।
ব্যক্তিজীবনে পূর্ণিমা ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। এরপর প্রথম সংসারে বিচ্ছেদ হয় তার। ২০২২ সালে আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। পেশায় তিনি দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।