Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢামেকের পর এবার রামেকের ওটিতে ভুয়া চিকিৎসক আটক

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পর এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) সামিউর রহমান (২৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের ওটি থেকে তাকে আটক করা হয়।

রামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. মুকুল শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক নগরীর উপ ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।

রামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. মুকুল শেখ বলেন, শরীরে দামি পোশাক। তার ওপর চিকিৎসকদের ব্যবহৃত অ্যাপ্রোন। কাঁধে ঝুলানো স্ট্যাথোসকোপ। গলায় রয়েছে আইডি কার্ড। আর হাতের আঙ্গুলে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের আংটি। যে কেউ প্রথম দেখায় মনে করতে পারেন তিনি একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। কিন্তু আসলে তিনি কোনো চিকিৎসক নন। ভুয়া এসব আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রায়ই আসতেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। অবশেষে শুক্রবার রাতে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। পরে তার নামে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট গোলাম মোস্তফা জানান, অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় জরুরি বিভাগে ‘ওটি’ করার জন্য ঢুকেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। এ সময় কত্যর্বরত নার্সদের কাছে মাস্ক ও ওটির পোশাক চান। সেগুলো দিতে না পারায় নার্সদের ওপর তিনি চড়াও হন। পরে ওই ব্যাক্তির আচরণে সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

তবে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দাবি, তার স্বপ্ন ছিলো বড় চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। তাই পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের তিনি রামেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আসতেন। সম্প্রতি তিনি এই পরিচয়ে এক নারীকে বিয়েও করেছেন। এ ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে শখের বসে এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। নিজেকে ইসলামী ব্যাংক ইনিস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলোজির শিক্ষার্থী দাবি করলেও সেটির পক্ষেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার (পিসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে সামিউর রহমান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে স্বীকার না করলেও পরে জানান তিনি কোনো চিকিৎসক নন। এরপর তাকে আটক করে রামেক হাসপাতালে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তাকে আটক করে আনসার সদস্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দ্য হান্ড্রেডে দল পেলেন পাকিস্তানের ইমাদ ও আমির

ঢামেকের পর এবার রামেকের ওটিতে ভুয়া চিকিৎসক আটক

প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পর এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) সামিউর রহমান (২৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের ওটি থেকে তাকে আটক করা হয়।

রামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. মুকুল শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক নগরীর উপ ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।

রামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. মুকুল শেখ বলেন, শরীরে দামি পোশাক। তার ওপর চিকিৎসকদের ব্যবহৃত অ্যাপ্রোন। কাঁধে ঝুলানো স্ট্যাথোসকোপ। গলায় রয়েছে আইডি কার্ড। আর হাতের আঙ্গুলে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের আংটি। যে কেউ প্রথম দেখায় মনে করতে পারেন তিনি একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। কিন্তু আসলে তিনি কোনো চিকিৎসক নন। ভুয়া এসব আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রায়ই আসতেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। অবশেষে শুক্রবার রাতে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। পরে তার নামে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট গোলাম মোস্তফা জানান, অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় জরুরি বিভাগে ‘ওটি’ করার জন্য ঢুকেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। এ সময় কত্যর্বরত নার্সদের কাছে মাস্ক ও ওটির পোশাক চান। সেগুলো দিতে না পারায় নার্সদের ওপর তিনি চড়াও হন। পরে ওই ব্যাক্তির আচরণে সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

তবে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দাবি, তার স্বপ্ন ছিলো বড় চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। তাই পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের তিনি রামেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আসতেন। সম্প্রতি তিনি এই পরিচয়ে এক নারীকে বিয়েও করেছেন। এ ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে শখের বসে এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। নিজেকে ইসলামী ব্যাংক ইনিস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলোজির শিক্ষার্থী দাবি করলেও সেটির পক্ষেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার (পিসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে সামিউর রহমান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে স্বীকার না করলেও পরে জানান তিনি কোনো চিকিৎসক নন। এরপর তাকে আটক করে রামেক হাসপাতালে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তাকে আটক করে আনসার সদস্যরা।