নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-৫ আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি আশাবাদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশিদ মুন্না ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। একযোগে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে চলমান এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা আর স্বতন্ত্র ছাড়া অনান্য প্রার্থীর এজেন্টদের দেখা যায়নি।
এই আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন, যারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা এই আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা।
যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায়ে আবারিয়া কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশিদ মুন্না বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী। এই আসন থেকে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
হারুনর রশিদ মুন্না বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে দেখলাম, পরিবেশ ভালো। বেলা বাড়লে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোল্লা সজলকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে মেনে নেব। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে ভোট দেবে না। তিনি বিএনপির ভোটের আশায় ছিলেন। বিএনপি তো ভোট বর্জন করেছে। তারা তো ভোট দিতে আসবে না। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
কোনাপাড়া মান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মোল্লা সজল বলেন, আমি এইমাত্র ভোট দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত পরিবেশ স্বাভাবিক। গতকাল রাতে বেশকিছু জায়গায় বিছিন্নভাবে আমাদের ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের ওপর তারা আক্রমণ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। জয়ের ব্যাপারে বাকি প্রার্থীরা সবাই মিলে যতটুকু আশাবাদী আমি তার থেকে বেশি আশাবাদী।
রাজধানীর প্রবেশমুখ বলে পরিচিত যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ও কদমতলী থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭ টি। এসব কেন্দ্রে রয়েছে এক হাজার ৮৯টি ভোট কক্ষ।
এই আসনে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন। আর নারী ভোটার দুই লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন তিন জন। সব মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা মোট চার লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন।