নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। ভূমিষ্ঠ পাঁচ নবজাতকের মধ্যে এক ছেলে ও চারটি মেয়ে শিশু। তাদের হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মেয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নরমাল ডেলিভারিতে একে একে পাঁচটি সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখে।

নরসিংদীর শিবপুরের বান্ধারদিয়া গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আমির উদ্দিন মামুনের স্ত্রী মনসুরা আক্তার (২১)। তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার নিনগাঁও গ্রামে। আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

লেবার ওয়ার্ডের ডিউটিরত চিকিৎসক ড. মাশরিমা মোর্শেদ মিশি জানান, একটি বাচ্চার হাত বের হওয়া অবস্থায় ওই নারী আজ সকালেই পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। এদের মধ্যে একটি ছেলে চারটি মেয়ে।

গাইনি ওয়ার্ডের ইউনিট-৬-এর প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা আফরোজ শিলার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন বাচ্চাদের মা। ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাশরিমা মোরশেদ মিশি জানান, সকালে লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন মনসুরা। পরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন তিনি। মায়ের অবস্থা ভালো হলেও পাঁচটি নবজাতকে এনআইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে এক মেয়েনবজাতক মারা গেছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি বাচ্চারই ওজন এক কেজির কম। যেখানে আড়াই কেজি স্বাভাবিক ওজন। কাজেই বাকি চারজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নবজাতকদের মা মনসুরা আক্তার জানান, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। বুধবার নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয়, তার গর্ভে পাঁচটি নবজাতক রয়েছে। তাদের ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। সে জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তারা ঢাকায় আসার জন্য পূর্বপরিকল্পনা করেন। তবে ভোরে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তার স্বামী মামুন জানান, রাস্তায় গাড়িতে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা নরমাল ডেলিভারি করান।