Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ চালু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাসের একটি সুবিধাজনক সময়ে এটি উদ্বোধন করবেন। তার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে। ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প পূর্ণতা পেল।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চালানোর পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে আজ ভ্রমণ করেছি। আমাদের সঙ্গে রেল মন্ত্রণালয়ের, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই ছিলেন। প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৪ শতাংশের বেশি। আর পুরো প্রকল্পকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতির ৭২.৫ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমরা ৪৫টি কোচ পেয়েছি। আরও ৫৫টি কোচ আমাদের পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম আশা করছি, সেগুলো যুক্ত করতে পারব।

প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। আগামী জুনে হয়ত বলা যাবে প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কি না।

পদ্মা সেতুতে সড়কপথ চালুর ১০ মাসের মাথায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হলো ট্রেন। বিকালে রেলমন্ত্রী নিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া আসে বিশেষ ট্রেন। এই পথে সার্বিক ডিজাইন স্পিড ১২০ কিলোমিটার হলেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালানো হয়।

সাত বগির বিশেষ ট্রেন ও একটি রেল ট্রাংকার ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে আসে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মাওয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি। ফরিদপুরের ভাঙ্গার পদ্মা স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ পাড়ি দেয় ট্রেনটি।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে প্রথমবারের মতো রেল চলাচলের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিসহ সেনাবাহিনী ও রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ চালু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাসের একটি সুবিধাজনক সময়ে এটি উদ্বোধন করবেন। তার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে। ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প পূর্ণতা পেল।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চালানোর পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে আজ ভ্রমণ করেছি। আমাদের সঙ্গে রেল মন্ত্রণালয়ের, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই ছিলেন। প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৪ শতাংশের বেশি। আর পুরো প্রকল্পকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতির ৭২.৫ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমরা ৪৫টি কোচ পেয়েছি। আরও ৫৫টি কোচ আমাদের পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম আশা করছি, সেগুলো যুক্ত করতে পারব।

প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। আগামী জুনে হয়ত বলা যাবে প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কি না।

পদ্মা সেতুতে সড়কপথ চালুর ১০ মাসের মাথায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হলো ট্রেন। বিকালে রেলমন্ত্রী নিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া আসে বিশেষ ট্রেন। এই পথে সার্বিক ডিজাইন স্পিড ১২০ কিলোমিটার হলেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালানো হয়।

সাত বগির বিশেষ ট্রেন ও একটি রেল ট্রাংকার ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে আসে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মাওয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি। ফরিদপুরের ভাঙ্গার পদ্মা স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ পাড়ি দেয় ট্রেনটি।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে প্রথমবারের মতো রেল চলাচলের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিসহ সেনাবাহিনী ও রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।