নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী আক্রান্তের মানদণ্ডে দক্ষিণ সিটির ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখে ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এক সপ্তাহে যে ওয়ার্ডগুলোতে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, সেসব ওয়ার্ডগুলোকে ‘লাল চিহ্নিত’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরে সব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, সেসব ওয়ার্ডকে ‘লাল চিহ্নিত’ করেছে সংস্থাটি। তাদের মতে, ‘লাল চিহ্নিত’ মানে বিপজ্জনক। সেখানে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই তারা ‘লাল চিহ্নিত’ করেছে, পাশাপাশি এতে এলাকাবাসীকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে করতে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রেড জোন ঘোষিত দুটি ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হবে। এতে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে সাড়ে ৯ শত পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী একটি ওয়ার্ডে এক সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’-এর আওতায় আনা হয়েছিল। এর আওতায় থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ৫, ২২, ৫৩ এবং ৬০ নম্বর ওয়ার্ড। ২৬ অগাস্ট ঢাদসিক মেয়র সেসব ওয়ার্ডে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। পরে আজ আবার আরও ২টি ওয়ার্ড অর্থাৎ ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড নতুন করে ‘রেড জোন’-এর আওতায় এলো।