Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন যাবে ২০২২ সালের মধ্যেই

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে ট্রেন। ২০২২ সালের মধ্যেই এ ট্রেন চলাচল শুরু হবে। দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এ ঘাষণা দিয়েছেন।

রেলমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার শহরে এই রেল স্টেশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা জলি এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই যাতে কক্সবাজারবাসী রেলে চড়ে সারা দেশে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে কাজ।

ইতিমধ্যে এই রেললাইন নির্মাণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিছু ভূমি জটিলতা থাকলেও তা সমাধান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপরোক্ত এমপিগণ, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।

রেলপথ নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত ভূমির বিপরীতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনেন কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম এবং কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।

আরও পড়ুন : ট্রেনের সিন্দুক থেকে টিকিটের টাকা গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন

অভিন্ন বক্তব্যে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুই এমপি বলেন, রেললাইন নির্মাণে কক্সবাজার জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত জায়গার মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে অহরহ অভিযোগ উঠেছে। তাই বিষয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে জমির মালিকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি মাননীয় মন্ত্রীর মহোদয়ের কাছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া এবং নাই্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

ভূমির মালিকদের তিপূরণ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলের চুক্তি হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নকাজও দেরিতে শুরু হয়। এর পরও ২০২২ সালেই সারা দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে কক্সবাজার যুক্ত হচ্ছে সেই আশা সংশ্লিষ্টদের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ করে মদ্রিচ এখন ইতালির ক্লাবে

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন যাবে ২০২২ সালের মধ্যেই

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে ট্রেন। ২০২২ সালের মধ্যেই এ ট্রেন চলাচল শুরু হবে। দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এ ঘাষণা দিয়েছেন।

রেলমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার শহরে এই রেল স্টেশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা জলি এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই যাতে কক্সবাজারবাসী রেলে চড়ে সারা দেশে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে কাজ।

ইতিমধ্যে এই রেললাইন নির্মাণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিছু ভূমি জটিলতা থাকলেও তা সমাধান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপরোক্ত এমপিগণ, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।

রেলপথ নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত ভূমির বিপরীতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনেন কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম এবং কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।

আরও পড়ুন : ট্রেনের সিন্দুক থেকে টিকিটের টাকা গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন

অভিন্ন বক্তব্যে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুই এমপি বলেন, রেললাইন নির্মাণে কক্সবাজার জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত জায়গার মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে অহরহ অভিযোগ উঠেছে। তাই বিষয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে জমির মালিকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি মাননীয় মন্ত্রীর মহোদয়ের কাছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া এবং নাই্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

ভূমির মালিকদের তিপূরণ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলের চুক্তি হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নকাজও দেরিতে শুরু হয়। এর পরও ২০২২ সালেই সারা দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে কক্সবাজার যুক্ত হচ্ছে সেই আশা সংশ্লিষ্টদের।