Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদকে সামনে রেখে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটির আগে বাড়ির দিকে ছুটছেন মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। যার বেশিরভাগ যানবাহনই ব্যক্তিগত ও যাত্রীবাহী গাড়ি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সকালের দিকে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের পাশাপাশি বাড়ছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার।

এদিকে যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ শনাক্ত করে সেগুলোর মেরামত করা হয়েছে। স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের মুলিবাড়ি এলাকা, নলকা মোড় ও নলকা সেতু এলাকা, কড্ডার মোড় এলাকা, পাচলিয়া, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, দাদপুর বাজার, ঘুড়কা বাজার, ভুইয়াগাাঁতী বাজার ও চান্দাইকোনা বাজারসহ আরও কয়েকটি পয়েন্ট।

চালকরা জানান, ভোর রাতের দিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যক্তিগত যানবাহন ও খোলা ট্রাকে করে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। এর আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে দুটি যান বিকল হওয়ার কারণে রাতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হলেও তা এখন আর নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল কবীর বলেন, সকাল থেকে মহাসড়ক ফাঁকাই ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে গাড়ি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে মহাসড়কে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছ।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক একদম স্বাভাবিক আছে, মহাসড়কে সেভাবে চাপ না বাড়লেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যানবাহন একটু বেশি চলাচল করছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা আমাদের ১০টি হুন্ডা মোবাইল টিম, ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি পিকেট টিম, ২টা পিকআপ টিম ও ১টা অ্যাম্বুলেন্স টিমসহ মোট ১৪১জন পুলিশ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এবং সচেতনতায় মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবকিছু মনিটরিং হচ্ছে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. খালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, মহাসড়কে একটু একটু করে যান চলাচল বেড়েছে। কোথাও কোনও যানজট নেই। তবে সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে আরও যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ২৪টি পিকেট টিম ও ২০টি মোবাইল টিমসহ মোট সাড়ে ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজটসহ যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে আমরা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদকে সামনে রেখে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটির আগে বাড়ির দিকে ছুটছেন মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। যার বেশিরভাগ যানবাহনই ব্যক্তিগত ও যাত্রীবাহী গাড়ি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সকালের দিকে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের পাশাপাশি বাড়ছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার।

এদিকে যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ শনাক্ত করে সেগুলোর মেরামত করা হয়েছে। স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের মুলিবাড়ি এলাকা, নলকা মোড় ও নলকা সেতু এলাকা, কড্ডার মোড় এলাকা, পাচলিয়া, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, দাদপুর বাজার, ঘুড়কা বাজার, ভুইয়াগাাঁতী বাজার ও চান্দাইকোনা বাজারসহ আরও কয়েকটি পয়েন্ট।

চালকরা জানান, ভোর রাতের দিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যক্তিগত যানবাহন ও খোলা ট্রাকে করে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। এর আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে দুটি যান বিকল হওয়ার কারণে রাতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হলেও তা এখন আর নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল কবীর বলেন, সকাল থেকে মহাসড়ক ফাঁকাই ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে গাড়ি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে মহাসড়কে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছ।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক একদম স্বাভাবিক আছে, মহাসড়কে সেভাবে চাপ না বাড়লেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যানবাহন একটু বেশি চলাচল করছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা আমাদের ১০টি হুন্ডা মোবাইল টিম, ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি পিকেট টিম, ২টা পিকআপ টিম ও ১টা অ্যাম্বুলেন্স টিমসহ মোট ১৪১জন পুলিশ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এবং সচেতনতায় মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবকিছু মনিটরিং হচ্ছে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. খালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, মহাসড়কে একটু একটু করে যান চলাচল বেড়েছে। কোথাও কোনও যানজট নেই। তবে সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে আরও যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ২৪টি পিকেট টিম ও ২০টি মোবাইল টিমসহ মোট সাড়ে ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজটসহ যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে আমরা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করব।