নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা চলমান ‘অসহযোগ আন্দোলনে’র অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই এ মহাসড়কে যান চলাচল কম ছিল। পরে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের সাইনবোর্ড, মৌচাক, শিমরাইলসহ কয়েকটি অংশে অবস্থান নিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে শুরু করে। এছাড়া ঢাকার শনির আখড়া, মাতুয়াইলেও তারা অবরোধ করে বলে জানা গেছে।
সকালে ছোট যানবাহন চলাচল করলেও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সড়কটি আন্দোলনকারীদের দখলে চলে গেলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।
সরেজমিনে মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, মৌচাক শিমরাইল মোড়ে ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনকারীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের কয়েকজনের হাতে লাঠিসোটা ছিল। তারা তাদের সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে, কোনো যানবাহন ভাঙচুর করতে দেখা যায়নি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই এ মহাসড়কে যান চলাচল কম ছিল। দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল না বললেই চলে। পণ্যবাহী যান চলাচলও ছিল একেবারে নগণ্য। বেলা বাড়ার পর আন্দোলনকারীরা মহাসড়কটি বন্ধ করে দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেককে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ছোট যানবাহনে চেপে অলিগলির রাস্তা ধরে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টায় রয়েছেন।
সকাল ১০টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় কথা হয় আকলিমা বেগমের সাথে। রাজধানীর মালিবাগে তার বাসা। জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে ভোরে তিনি নারায়ণগঞ্জে আসেন। কাজ সেরে তিনি আবার ফিরছেন ঢাকায়।
আকলিমা বলেন, বাস তো সব বন্ধ। ভেঙে ভেঙে সিএনজি, অটোরিকশা করে আসছি। আবার সেভাবেই যাচ্ছি। আন্দোলন তো শুরু এগারোটায়, তার আগে বাসায় ফিরতে পারলেই হলো।
এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বের হয়নি কোনো বাস। জেলার অভ্যন্তরে চলাচল করা বাসগুলোও সড়কে দেখা যায়নি।