Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের সাত ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও দুটির ট্রেনেরই ওয়াগন, চাকা, মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিভাগীয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর রাত থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছে। সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। প্রথমে গেছে ঢাকা থেকে খুলনামুখী চিত্রা এক্সপ্রেস। এদিকে সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

পাকশী রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে তেলের খালি ওয়াগন বহন করা খুলনাগামী একটি ট্রেন রওনা দেয়। ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট নামক এলাকায় লেভেল ক্রসিং গেট অতিক্রমের সময় পাকশীর দিক আসা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। বিকট শব্দে রেলগেটের দুপাশের মানুষ ও দোকানিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনায় মালবাহী ট্রেনের ২টি ওয়াগনের ৮টি চাকা এবং লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। একই সঙ্গে শহরের লেভেল ক্রসিং গেটে ট্রেন আটক পড়ায় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঈশ্বরদী-খুলনা ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন ঈশ্বরদী রেল জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মাহাবুবা শাহিনুর, ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) কে এম হামিদুল্লাহ ও সহকারী লোকোমাস্টার জুনায়েদ হোসেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাকশী বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী সমন্বয়ে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রকাশের সময় : ১২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের সাত ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও দুটির ট্রেনেরই ওয়াগন, চাকা, মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিভাগীয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর রাত থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছে। সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। প্রথমে গেছে ঢাকা থেকে খুলনামুখী চিত্রা এক্সপ্রেস। এদিকে সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

পাকশী রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে তেলের খালি ওয়াগন বহন করা খুলনাগামী একটি ট্রেন রওনা দেয়। ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট নামক এলাকায় লেভেল ক্রসিং গেট অতিক্রমের সময় পাকশীর দিক আসা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। বিকট শব্দে রেলগেটের দুপাশের মানুষ ও দোকানিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনায় মালবাহী ট্রেনের ২টি ওয়াগনের ৮টি চাকা এবং লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। একই সঙ্গে শহরের লেভেল ক্রসিং গেটে ট্রেন আটক পড়ায় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঈশ্বরদী-খুলনা ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন ঈশ্বরদী রেল জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মাহাবুবা শাহিনুর, ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) কে এম হামিদুল্লাহ ও সহকারী লোকোমাস্টার জুনায়েদ হোসেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাকশী বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী সমন্বয়ে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।