Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলছে শনিবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যানজট নিরসনে ঢাকা সিটির উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। চিরচেনা তীব্র যানজট এড়িয়ে চলাচলে একাংশের পথ খুলছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট অংশ। এ ধাপে সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্বের পথটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধন হওয়ার পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার কথা থাকলেও প্রকল্প উদ্বোধনের আগে শেষ সময়ে এসে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রতিটি গাড়িকে সময় ব্যয় করতে হবে মাত্র ১০-১২ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করলে বনানী, মহাখালি, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় স্মরণীর ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি মিলবে ওই পথের যাত্রীদের।

প্রকল্পের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। বর্তমানে পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে কাওলাপ্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে এক্সপ্রেসওয়ে উঠবেন। টোল পরিশোধ করে যাবেন আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানে তিনি বক্তব্য দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও এতে সবাই চলাচল করতে পারবে না। পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি এতে উঠতে পারবে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। তবে চলাচল করতে পারবে চার চাকার গাড়ি।

এজন্য ওইসব গাড়িকে টোল গুনতে হবে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাককে ৮০, বাস ও মিনিবাস ১৬০, মাঝারি ট্রাক ৩২০ এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলরে ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার যুগান্তরকে বলেন, দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। বর্তমানে মূল এক্সপ্রেসওয়ে ৬০ কিলোমিটার গতিতে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলবে।

মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেলে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে দ্রুতগতিতে অন্যান্য গাড়ি চলতে পারবে না। মিশ্র গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটবে। ওই আশঙ্কা থেকে দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে র‌্যাম্প রয়েছে ১৫টি র‌্যাম্প। র‌্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এই অংশ চালু হওয়ায় বাঁচবে যাতায়াতের সময়, কমবে দুর্ভোগ। তারা জানান, আগামী জুনে দ্বিতীয় ধাপে মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ চালুর কথা রয়েছে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুবিধা পাবেন নগরবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে প্রথম ফেইজের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, শুরুতে আমরা এই পথে ৮০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু মানুষের যাতায়াতে অভ্যস্ত করার জন্য ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মানুষ কিছুদিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে আবার ৮০ কিলোমিটারে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

বুয়েটের শিক্ষক গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুল নেওয়াজ বলেন, ওইসব পয়েন্টের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। নইলে যানজট নিরসনের লক্ষ্য পূরণ হবে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আশা, প্রথম ধাপের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। যদিও ওই সংখ্যক গাড়ি এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলছে শনিবার

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যানজট নিরসনে ঢাকা সিটির উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। চিরচেনা তীব্র যানজট এড়িয়ে চলাচলে একাংশের পথ খুলছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট অংশ। এ ধাপে সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্বের পথটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধন হওয়ার পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার কথা থাকলেও প্রকল্প উদ্বোধনের আগে শেষ সময়ে এসে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রতিটি গাড়িকে সময় ব্যয় করতে হবে মাত্র ১০-১২ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করলে বনানী, মহাখালি, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় স্মরণীর ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি মিলবে ওই পথের যাত্রীদের।

প্রকল্পের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। বর্তমানে পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে কাওলাপ্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে এক্সপ্রেসওয়ে উঠবেন। টোল পরিশোধ করে যাবেন আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানে তিনি বক্তব্য দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও এতে সবাই চলাচল করতে পারবে না। পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি এতে উঠতে পারবে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। তবে চলাচল করতে পারবে চার চাকার গাড়ি।

এজন্য ওইসব গাড়িকে টোল গুনতে হবে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাককে ৮০, বাস ও মিনিবাস ১৬০, মাঝারি ট্রাক ৩২০ এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলরে ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার যুগান্তরকে বলেন, দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। বর্তমানে মূল এক্সপ্রেসওয়ে ৬০ কিলোমিটার গতিতে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলবে।

মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেলে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে দ্রুতগতিতে অন্যান্য গাড়ি চলতে পারবে না। মিশ্র গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটবে। ওই আশঙ্কা থেকে দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে র‌্যাম্প রয়েছে ১৫টি র‌্যাম্প। র‌্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এই অংশ চালু হওয়ায় বাঁচবে যাতায়াতের সময়, কমবে দুর্ভোগ। তারা জানান, আগামী জুনে দ্বিতীয় ধাপে মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ চালুর কথা রয়েছে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুবিধা পাবেন নগরবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে প্রথম ফেইজের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, শুরুতে আমরা এই পথে ৮০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু মানুষের যাতায়াতে অভ্যস্ত করার জন্য ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মানুষ কিছুদিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে আবার ৮০ কিলোমিটারে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

বুয়েটের শিক্ষক গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুল নেওয়াজ বলেন, ওইসব পয়েন্টের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। নইলে যানজট নিরসনের লক্ষ্য পূরণ হবে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আশা, প্রথম ধাপের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। যদিও ওই সংখ্যক গাড়ি এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।