Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় ২২ কোম্পানির বাস চলবে ৪২ রুটে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

ঢাকায় বাস চলবে ৪২ রুটে

রাজধানীর যানজট কমাতে এবং পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে সরকার। এজন্য গঠন করা হয়েছে রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ওই কমিটি বাস সার্ভিসেস রোড় রিস্ট্রাকচারিং অ্যান্ড ক্ল্যাস্টারিং রিপোর্টে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবে রাজধানীর ২৯১ রুটে চালু থাকা গণপরিবহনগুলোকে ৪২ রুটে আনা হবে। আর এসব রুটে আড়াই হাজার বাস মালিকের সমন্বয়ে গঠিত ২২ কোম্পানির সাড়ে চার হাজার বাস চলাচল করবে। পাশাপাশি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা বাসগুলোকে নগরের বাইরে নির্মাণ করা টার্মিনালে অবস্থান করতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপরে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে এসব কথা জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠকে উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে তার মতামত তুলে ধরেন।

ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য শৃঙ্খলা ও যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি কাজ করছে। কমিটির কাজের অগ্রগতিও অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা মালিক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২৯১টি রুটকে কমিয়ে ৪২টি রুটে আনার প্রস্তাব করেছি। যেখানে ঢাকায় চলাচলরত সাড়ে ৪ হাজার গাড়ির ২৫০০ মালিককে ২২টি কোম্পানির অধীনে আনা হবে।

আরও পড়ুন : ভাঙ্গায় পরিবহনের চাপায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

এটা সম্পন্ন করতে পারলে যানজট অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি ঢাকার প্বার্শবর্তী শহর যেমন গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গাড়িগুলোর জন্য শহরের বাইরে করা হবে নির্ধারিত টার্মিনাল। যেখানে যাত্রী নামানোর পর আবার নিজ শহরে সেগুলো ফিরে যাবে বাসগুলো। এতে যানজট কমবে, আবার শহরের বাড়তি চাপও কমবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটিতে তিনটি টার্মিনাল আছে যা পর্যাপ্ত না, এতে অধিকাংশ গাড়ই রাস্তার ওপর অবস্থান করতে বাধ্য হয়। আমরা ঢাকায় ১০টি টার্মিনালের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেছি। যেগুলো থেকে কয়টি টার্মিনাল হবে তার চুড়ান্ত প্রস্তাব আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে। জানুয়ারির পরবর্তী সভায় এটা নির্ধারণ হবে। তবে আমাদের কমিটির করা সব প্রস্তাব মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারশনের সমন্বয়ে করা হবে।’

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান,ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমাল উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকায় ২২ কোম্পানির বাস চলবে ৪২ রুটে

প্রকাশের সময় : ১০:৩৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীর যানজট কমাতে এবং পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে সরকার। এজন্য গঠন করা হয়েছে রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ওই কমিটি বাস সার্ভিসেস রোড় রিস্ট্রাকচারিং অ্যান্ড ক্ল্যাস্টারিং রিপোর্টে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবে রাজধানীর ২৯১ রুটে চালু থাকা গণপরিবহনগুলোকে ৪২ রুটে আনা হবে। আর এসব রুটে আড়াই হাজার বাস মালিকের সমন্বয়ে গঠিত ২২ কোম্পানির সাড়ে চার হাজার বাস চলাচল করবে। পাশাপাশি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা বাসগুলোকে নগরের বাইরে নির্মাণ করা টার্মিনালে অবস্থান করতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপরে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে এসব কথা জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠকে উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে তার মতামত তুলে ধরেন।

ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য শৃঙ্খলা ও যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি কাজ করছে। কমিটির কাজের অগ্রগতিও অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা মালিক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২৯১টি রুটকে কমিয়ে ৪২টি রুটে আনার প্রস্তাব করেছি। যেখানে ঢাকায় চলাচলরত সাড়ে ৪ হাজার গাড়ির ২৫০০ মালিককে ২২টি কোম্পানির অধীনে আনা হবে।

আরও পড়ুন : ভাঙ্গায় পরিবহনের চাপায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত

এটা সম্পন্ন করতে পারলে যানজট অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি ঢাকার প্বার্শবর্তী শহর যেমন গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গাড়িগুলোর জন্য শহরের বাইরে করা হবে নির্ধারিত টার্মিনাল। যেখানে যাত্রী নামানোর পর আবার নিজ শহরে সেগুলো ফিরে যাবে বাসগুলো। এতে যানজট কমবে, আবার শহরের বাড়তি চাপও কমবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটিতে তিনটি টার্মিনাল আছে যা পর্যাপ্ত না, এতে অধিকাংশ গাড়ই রাস্তার ওপর অবস্থান করতে বাধ্য হয়। আমরা ঢাকায় ১০টি টার্মিনালের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেছি। যেগুলো থেকে কয়টি টার্মিনাল হবে তার চুড়ান্ত প্রস্তাব আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে। জানুয়ারির পরবর্তী সভায় এটা নির্ধারণ হবে। তবে আমাদের কমিটির করা সব প্রস্তাব মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারশনের সমন্বয়ে করা হবে।’

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান,ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমাল উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।