Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল মিয়ানমারের মাওলাইকে। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ৯৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, মিয়ানমারের সাগাইং রিজিওনের মাওলাইক জেলার কাছে ভূমিকম্পটি হয়। এটি ভূমিকেন্দ্রের তলদেশে ৮৪ কিলোমেটার গভীরতায় আঘাত হানে। এটিকে প্রাথমিকভাবে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস রিপোর্টে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের কাছাকাছি ভূমিকম্পের কথাও বলা হয়েছে। তবে সেটা প্রমাণিত নয়। এই সম্ভাব্য ভূমিকম্পের মাত্রা বা গভীরতা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সর্বশেষ গত রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল মিয়ানমারের মাওলাইকে। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ৯৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, মিয়ানমারের সাগাইং রিজিওনের মাওলাইক জেলার কাছে ভূমিকম্পটি হয়। এটি ভূমিকেন্দ্রের তলদেশে ৮৪ কিলোমেটার গভীরতায় আঘাত হানে। এটিকে প্রাথমিকভাবে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস রিপোর্টে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের কাছাকাছি ভূমিকম্পের কথাও বলা হয়েছে। তবে সেটা প্রমাণিত নয়। এই সম্ভাব্য ভূমিকম্পের মাত্রা বা গভীরতা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সর্বশেষ গত রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।