স্পোর্টস ডেস্ক :
দুই দলের সামনেই ছিল হারের বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ। টানা ৯ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দুর্দান্ত ঢাকার। অন্যদিকে টানা পাঁচ হারে ধুঁকছিল খুলনা টাইগার্সও। এমন দুই লড়াই রোমাঞ্চ ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরুত্তাপ ম্যাচে ঢাকার চ্যালেঞ্জ সহজেই উতরে গেছে খুলনা। পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে ৫ উইকেটে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ৩৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ও খুলনা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে ঢাকা। জবাবে ৫ উইকেট ও ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় খুলনা। ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। আরেক ওপেনার এভিন লুইসকেও (৪) ফেরান শরিফুল। তবে পরের তিন ব্যাটারই পান রানের দেখা।
ইমন ও শাই হোপ মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। ইমন ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করে লঙ্কান বোলার চতুরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হন। শাই হোপ দলকে ৯৯ রানে রেখে তাসকিন আহমেদের বলে চতুরাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস।
খুলনার সহজ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফিফ। মাত্র ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ঝোড়ো ইনিংসটি ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান তিনি। ১৫তম ওভারে তাকে রেখে মাহমুদুল হাসান জয় (২) দ্রুত ফিরলেও আফিফের ব্যাটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি খুলনার।
ঢাকার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট পান শরিফুল ও তাসকিন।
এর আগে ব্যাট করতে শুরু থেকেই রান করতে পারেনি ঢাকা। পাওয়ার-প্লেতে ৬ ওভারের মধ্যেই ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তাসকিন আহমেদের দল। একে একে সাজঘরে ফেরত গিয়েছেন মোহাম্মদ নাইম, সাইফ হাসান ও অ্যাডাম রসিংটন।
মাঝখানের দিকে অ্যালেক্স রস ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে কিছুটা রান পেয়েছে ঢাকা। রস করেছেন ৩৫ বলে ২৫ রান করে অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন তিনি। ২৬ বল খেলে ইরফানও করেন ২৫ রান। মুকিদুল ইসলামের বলে মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে ওপেনিংয়ে নেমে ১২ বলে ১৮ রান করেছেন রসিংটন।
শেষ দিকে লড়াই করে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৩ বলে ২৬ রান করে মুকিদুলের তৃতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি করা চতুরাঙ্গা ডি সিলভা করেছেন ১১ বলে ১৭ রান।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন পারনেল। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। সমান উইকেট পান মুকিদুল ইসলামও। তিনি খরচ করেন ১৮ রান।
১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এলো খুলনা। সমান পয়েন্ট ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। তবে এই দুই দল খুলনার চেয়ে একটি করে কম ম্যাচ খেলেছে। আর ১১ ম্যাচে ১০ম হারে ২ পয়েন্ট পাওয়া ঢাকা রইলো তলানিতেই। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের একধাপ উপরে সিলেট স্ট্রাইকার্স।