স্পোর্টস ডেস্ক :
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও আশা জাগানিয়া শুরু ছিল দুর্দান্ত ঢাকার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শেষটা ছিল হতাশার। বুধবার ১২৪ রানের পুঁজিতে তাসকিন আহমেদদের সাফল্য বলতে মোহাম্মদ মিথুনদের ৫টি উইকেট এবং ম্যাচের ১৮ ওভার পর্যন্ত লড়ে যাওয়া। তবে হার যদিও রুখতে পারেনি। ঢাকাকে টানা ষষ্ঠ হার উপহার দেওয়া সিলেটও তুলে নিয়েছে আসরের দ্বিতীয় জয়।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে মিরপুরে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে ঢাকা।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সামিত প্যাটেল। শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাদে পড়ে ডাক খেয়েছেন এই ওপেনার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এই বাঁহাতি পেসারের শিকার হয়েছেন হ্যারি ট্যাক্টর।
সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসানও। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ৯ বলে করেছেন ৮ রান। ৪১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক। ১২ বলে ১৭ রান করেছেন তিনি।
শান্ত উইকেটে থিতু হয়ে আরও একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ৩৩ রান। ৭৪ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে শান্ত সাজঘরে ফিরলে সিলেটের জয় নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে শঙ্কার সেই মেঘ উড়ে গেছে বার্ল-হাওয়েলের ব্যাটে। হাওয়েলের অপরাজিত ৩০ ও বার্লের অপরাজিত ২৯ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সিলেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। বল হাতে প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পান নাঈম হাসান। তার বলে মাত্র ৪ রানে আউট হন সাব্বির হোসেন। শুরুর ধাক্কা সামলে নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। দুজনে মিলে গড়েন ৭৮ রানের জুটি।
ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটিকে ভাঙেন বেনি হাওয়েল। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪১ রান করেন সাইফ। সাইফ আউট হওয়ার পর আর কেউই বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। নাঈম করেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান। এছাড়া সাইম আইয়ুব করেন ১০ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।