নিজস্ব প্রতিবেদক :
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’কে সরকার দাওয়াত দিয়ে আনেনি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড লু নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও না। একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এত মাতামাতি কেন! তার প্রয়োজনে তিনি এসেছেন, তাদের এজেন্ডা আছে। সম্পর্ক যখন থাকে, সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকে। সেটা তারা করতে এসেছেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনছি না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা কোনো ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না।
তিনি নির্বাচনের আগে এসেছিলেন, তখন ভিসানীতি, স্যাংশনের বিষয় ছিল। এখন আবার আসলেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের স্যাংশন, ভিসানীতি- এগুলো কেয়ার করি না।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো প্রকার স্যাংশন, ভিসানীতি এগুলো আমরা কেয়ার করি না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন বিএনপির ব্যর্থ চেষ্টা। বিএনপির লোকেরাই ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে না।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বাস্তবে ভারতীয় পণ্য বর্জন কী সম্ভব? মসলা, শাড়ি কাপড়, নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য আসে ভারত থেকে। বিএনপি সব হারিয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়। তাদের কোন ইস্যু নেই, ভারতীয় পণ্য বর্জন কোন ইস্যু নয়। এটা নন ইস্যু।
ওবায়দুল কাদের এসময় আরও বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগ নিতে বাধা নেই। গরম কমে গেলে আন্দোলন, কোরবানির ইদের পরে আন্দোলন, কবে হবে আন্দোলন। এটা তাদের দিবাস্বপ্ন। ইদানিং কালে তাদের ২টি সমাবেশ ফ্লপ করেছে। কর্মীরা হতাশ এজন্য তাদের কর্মসূচিতে অংশ নেয় না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি আনার চেষ্টা করছি। সিঙ্গেল ডেকার বাস আনা হবে ইলেকট্রিক। তিনি বলেন, দেশের পরিবহন খাত ভালো হবে ইলেকট্রিক গাড়ি আনলে। গাড়ি আনার জন্য আমরা সরকারিভাবে উৎসাহিত করবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক নিরাপদ হয়নি নানামুখী কারণ আছে। করোনা মহামারির কারণে এটা হয়নি। রোড সেফটি নিয়ে নানা প্রকল্প চালু আছে, কার্যকর হলে সড়ক নিরাপদ হবে আশা করা যায়।
কাদের বলেন, হাতিরঝিলে এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ আছে। চালু হবে শিগগরই।
প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুনিয়াতে ১৫ ভাগ কর আরোপের নজির আছে মেট্রোরেলে। আমাদের মেট্রোতে সর্বোচ্চ ৫ ভাগ কর আরোপ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সড়কে গতিসীমার বিষয়ে আমরা যে গাইডলাইন করেছি সে বিষয়ে আমরা কঠোর থাকবো। সেতুমন্ত্রী বলেন, যে যাই বলেন আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লক্কড় ঝক্কড় গাড়ির ইস্যুটি দুই সিটির ট্রান্সপোর্ট নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল দিয়ে লক্কড় ঝক্কড় গাড়ির সমাধান হবে না। বিকল্প ব্যবস্থা না করে লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি তুলে দিলে জনদুর্ভোগ হবে।