নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এ দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন— ইরাম রেদওয়ান (২৫) ও অপু আহমেদ (২৫)। ইরাম আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অপু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পর মোটরসাইকেলে থাকা গুরুতর আহত দুজনকে তাদের সঙ্গে থাকা অন্যরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটিকে জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে তাহসিনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভোর ৪টা চল্লিশ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। অপর জন, ইরাম হৃদয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টা পঁয়ত্রিশ মিনিটে মারা যান। মরদেহ দুটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
উদ্ধারকারী নিহতদের এলাকার ছোট ভাই তাওসিফ বলেন, ‘তাহসিন ও ইরামের এলাকার বড় ভাই সিয়ামের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমরা একসঙ্গেই ছিলাম। পরে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ধার্মিকপাড়া মিনি কক্সবাজার রোডে আমরা বেশ কয়েক জন মিলে চা খাচ্ছিলাম, সে সময়ে তারা দুজন একটি মোটরসাইকেলে একটু ঘুরতে বের হয়। তারা কিছুদূর যেতেই একটি বিকট শব্দ পাই, তখন আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি, সিটি করপোরেশেনের গাড়ির নিচে মোটরসাইকেল, আর তারা দুজন ছিটকে পড়ে আছে। পরে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ওই এলাকার বাসিন্দা, যতদূর জানি সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি গুলোর অধিকাংশ চালকই মাদক সেবন করে থাকে। আর তা সেবন করে রাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। তারা কোনও নিয়মনীতি মানে না।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুজনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















