Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেয়ার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, তার (এমরান আহম্মদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

এ সময় সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব।’

অপর দিকে আনিসুল হক বলেন, সাংবাদিকতা করার জন্য কারও ওপর যেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ব্যবহার না হয় সেদিকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো। এক্ষেত্রে যেন একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আনিসুল হক বলেন, অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা যেন আমরা বুঝি। ৪২ ধারা থাকলেও একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। ৪২ ধারার অবারিত ক্ষমতা যেন কোনো ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিতে না দিয়ে দেওয়া হয় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।

তিনি বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে অপরাধ যখন করা হয় সেই সময় যে প্রযোজ্য আইন সেই আইনে বিচার হবে এবং সেই প্রযোজ্য আইনের সাজাই হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২৮ ধারায় মানহানি মামলার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মানহানির জন্য কারাদণ্ড ছিল। এর পাশাপাশি কারাদণ্ড বা জরিমানা পাঁচ লাখ টাকা বা উভয়দণ্ড। এখন কারাদণ্ড নেই এবং জরিমানা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা। আমরা চেষ্টা করছি পুরোনো মামলাগুলোর ক্ষেত্রে মানহানির জন্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো কারাদণ্ড থাকবে না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব দীপ আজাদ। প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বার্ড স্ট্রাইক, বেঙ্গালুরুতে ফ্লাইট বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেয়ার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, তার (এমরান আহম্মদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

এ সময় সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব।’

অপর দিকে আনিসুল হক বলেন, সাংবাদিকতা করার জন্য কারও ওপর যেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ব্যবহার না হয় সেদিকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো। এক্ষেত্রে যেন একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আনিসুল হক বলেন, অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা যেন আমরা বুঝি। ৪২ ধারা থাকলেও একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। ৪২ ধারার অবারিত ক্ষমতা যেন কোনো ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিতে না দিয়ে দেওয়া হয় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।

তিনি বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে অপরাধ যখন করা হয় সেই সময় যে প্রযোজ্য আইন সেই আইনে বিচার হবে এবং সেই প্রযোজ্য আইনের সাজাই হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২৮ ধারায় মানহানি মামলার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মানহানির জন্য কারাদণ্ড ছিল। এর পাশাপাশি কারাদণ্ড বা জরিমানা পাঁচ লাখ টাকা বা উভয়দণ্ড। এখন কারাদণ্ড নেই এবং জরিমানা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা। আমরা চেষ্টা করছি পুরোনো মামলাগুলোর ক্ষেত্রে মানহানির জন্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো কারাদণ্ড থাকবে না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব দীপ আজাদ। প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।