Dhaka রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দোহাই দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে : জোনায়েদ সাকি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পরে সিটি করপোরেশন কোনো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেসব কীটনাশক নিয়ে এসেছে সেগুলো কাজে লাগেনি। বরং এসবের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি আয়োজিত ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের নাগালে আনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। জুন-জুলাই থেকে ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি করপোরেশন কোনো সত্যিকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ২০১৯ সাল থেকে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অথচ ডেঙ্গু মশার লার্ভা না জন্মানোর তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ ভাগ কমে যেত। অথচ পাশের দেশ ভারত এমন উদ্যোগ অনেক আগেই গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। ৮০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, অথচ সে অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দরকার পড়ে স্যালাইনের, অথচ এ স্যালাইন নিয়ে ব্যবসা করা হয়েছে। সংকট দেখিয়ে পুঁজি করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রয়োজন নেই কিন্তু ডাক্তাররা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে।

সাকি বলেন, একদিক দিয়ে ডেঙ্গুতে মানুষ মরে, অন্যদিক দিয়ে বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠে। সিন্ডিকেটের ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এ সিন্ডিকেট সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। সরকারের চিন্তা হলো কীভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসা যায়।

সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো থাকতে চায়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই।

গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি ভালো থাকতে হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই। একটি জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুইয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সদস্য আল-আমিন, রিমিসহ অন্যান্য সদস্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

টাইব্রেকারে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দোহাই দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে : জোনায়েদ সাকি

প্রকাশের সময় : ০৯:০১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পরে সিটি করপোরেশন কোনো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেসব কীটনাশক নিয়ে এসেছে সেগুলো কাজে লাগেনি। বরং এসবের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি আয়োজিত ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের নাগালে আনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। জুন-জুলাই থেকে ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি করপোরেশন কোনো সত্যিকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ২০১৯ সাল থেকে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অথচ ডেঙ্গু মশার লার্ভা না জন্মানোর তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ ভাগ কমে যেত। অথচ পাশের দেশ ভারত এমন উদ্যোগ অনেক আগেই গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। ৮০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, অথচ সে অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দরকার পড়ে স্যালাইনের, অথচ এ স্যালাইন নিয়ে ব্যবসা করা হয়েছে। সংকট দেখিয়ে পুঁজি করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রয়োজন নেই কিন্তু ডাক্তাররা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে।

সাকি বলেন, একদিক দিয়ে ডেঙ্গুতে মানুষ মরে, অন্যদিক দিয়ে বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠে। সিন্ডিকেটের ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এ সিন্ডিকেট সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। সরকারের চিন্তা হলো কীভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসা যায়।

সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো থাকতে চায়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই।

গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি ভালো থাকতে হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই। একটি জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুইয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সদস্য আল-আমিন, রিমিসহ অন্যান্য সদস্যরা।