Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতে দলটি পুলিশ প্রশাসনকে বিনা ওয়ারেন্টে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি নেতারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিনা ওয়ারেন্টে এবং মামলা নেই এমন লোকদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে কোনো মামলা ছিল না। মীর সরাফত আলী সপুর বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোলাম মাওলা শাহিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনিভাবে অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৪ এবং ১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে ঠিক যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল, হয়রানি করা হয়েছিল, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে আজকেও নির্বাচনকে সামনে রেখে একই কৌশল নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি এই গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতার করা যাবে না। বলেছি- কারো বিরুদ্ধে যদি ওয়ারেন্ট থাকে ওয়ারেন্ট দেখাবেন, গ্রেফতার করবেন। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, রাত তিনটায় বাড়ি থেকে গিয়ে ধরে নিয়ে আসবেন এটা হতে পারে না। এসব বন্ধ করতে হবে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, বনানীতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ৫৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের একজন নেতা হজে যাবেন, তিনি নেতাকর্মীদেরকে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ২৬ মার্চে কর্মসূচি এবং ২৭ মার্চে গণ সমাবেশের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা ঢাকা মহানগরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে- এ বিষয়গুলো ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করার পাশাপাশি কী কারণে গ্রেফতার হচ্ছে? এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন , বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি না, যে বিএনপির কোনো বাড়িতে বা কোনো রেস্টুরেন্টে কোনো সভা করতে পারবে না। সে দলতো বিএনপি না। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল। এটা আমরা ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করেছি। এভাবে যেন গ্রেফতার করা না হয়। পাশাপাশি আমরা যেটা বলেছি গ্রেফতার করার পর সরকার মহল থেকে বলা হয়- তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সম্পূর্ণ এটা সত্য কথা না।

তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে ইতোমধ্যে আমাদের যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই জামিনে আছেন। যেসব মামলা সরকার অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে দিয়েছে, তারপরও সেগুলো মামলার হাইকোর্ট ও জজকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া হয়েছে।

আব্দুস সালাম বলেন, সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে। আর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে কাবু করার জন্য, বিএনপিকে ঘরে ঢোকানোর জন্য, তারা বিএনপি নেতা-সংগঠককে বেছে বেছে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবে এটা হতে পারে না। এটার আমরা প্রতিবাদ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিলগুলো করতে চাই। এ ব্যাপারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যতটুকু পুলিশের সহযোগিতা দরকার, সেই সহযোগিতা চাই। কোথাও যাতে অন্যায়ভাবে কোনো গ্রেফতার না হয়, সে ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করি, সেটা তাকে বলেছি।

বৈঠকে বিএনপির পাঁচ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতে দলটি পুলিশ প্রশাসনকে বিনা ওয়ারেন্টে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি নেতারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিনা ওয়ারেন্টে এবং মামলা নেই এমন লোকদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে কোনো মামলা ছিল না। মীর সরাফত আলী সপুর বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোলাম মাওলা শাহিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনিভাবে অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৪ এবং ১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে ঠিক যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল, হয়রানি করা হয়েছিল, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে আজকেও নির্বাচনকে সামনে রেখে একই কৌশল নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি এই গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতার করা যাবে না। বলেছি- কারো বিরুদ্ধে যদি ওয়ারেন্ট থাকে ওয়ারেন্ট দেখাবেন, গ্রেফতার করবেন। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, রাত তিনটায় বাড়ি থেকে গিয়ে ধরে নিয়ে আসবেন এটা হতে পারে না। এসব বন্ধ করতে হবে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, বনানীতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ৫৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের একজন নেতা হজে যাবেন, তিনি নেতাকর্মীদেরকে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ২৬ মার্চে কর্মসূচি এবং ২৭ মার্চে গণ সমাবেশের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা ঢাকা মহানগরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে- এ বিষয়গুলো ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করার পাশাপাশি কী কারণে গ্রেফতার হচ্ছে? এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন , বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি না, যে বিএনপির কোনো বাড়িতে বা কোনো রেস্টুরেন্টে কোনো সভা করতে পারবে না। সে দলতো বিএনপি না। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল। এটা আমরা ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করেছি। এভাবে যেন গ্রেফতার করা না হয়। পাশাপাশি আমরা যেটা বলেছি গ্রেফতার করার পর সরকার মহল থেকে বলা হয়- তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সম্পূর্ণ এটা সত্য কথা না।

তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে ইতোমধ্যে আমাদের যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই জামিনে আছেন। যেসব মামলা সরকার অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে দিয়েছে, তারপরও সেগুলো মামলার হাইকোর্ট ও জজকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া হয়েছে।

আব্দুস সালাম বলেন, সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে। আর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে কাবু করার জন্য, বিএনপিকে ঘরে ঢোকানোর জন্য, তারা বিএনপি নেতা-সংগঠককে বেছে বেছে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবে এটা হতে পারে না। এটার আমরা প্রতিবাদ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিলগুলো করতে চাই। এ ব্যাপারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যতটুকু পুলিশের সহযোগিতা দরকার, সেই সহযোগিতা চাই। কোথাও যাতে অন্যায়ভাবে কোনো গ্রেফতার না হয়, সে ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করি, সেটা তাকে বলেছি।

বৈঠকে বিএনপির পাঁচ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।