নিজস্ব প্রতিবেদক :
পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদন আবু সালেহ আকন। মোট ৮০১ ভোট পেয়ে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ৫৪৮ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইনকিলাবের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাইনুল হাসান সোহেল।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয় বিকেল ৫টায়। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার একঘণ্টার মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
সোয়া ৬টার দিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ।
২০২৫ সাল মেয়াদের এ নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদের মধ্যে চারটি সম্পাদকীয় পদে চারজন একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৭টি পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে আছেন।
ডিআরইউ নির্বাচনের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এম এ আজিজ। অন্য সদস্যরা হলেন, আবু তাহের, এলাহী নেওয়াজ, বাকের হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।
ডিআরইউ নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিন জন। তাদের মধ্যে এর আগের দুইবার নির্বাচিত সভাপতি বাসসের চিফ রিপোর্টার মুরসালিন নোমানী ৪৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, শরিফুল ইসলাম (বিলু) ১০২ ভোট পান। নয়া দিগন্তের চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন সর্বোচ্চ ৮০১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন।
সহ-সভাপতি পদে গাযী আনোয়ার ও ওসমান গণি বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে গাযী আনোয়ার ৬৯৮ পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হোন।
সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল কাফি ২৮৯ ভোট, মাহমুদুল হাসান ২১০ ভোট, শাহনাজ শারমীন ৩৬৪ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হোন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল ভোট পান ৬৪৪ ভোট, নাদিয়া শারমিন ৭২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে এম এম জসিম ৪২৬ ভোট, এস এম মিজান ২৯৩, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম ১০১ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আবদুল হাই তুহিন।
দপ্তর সম্পাদক পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এ পদে কিরণ শেখ ভোট পান ৬৫৬ ভোট, তবে রফিক রাফি ৬৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হোন।
নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারহানা হক নীলা ভোট পান ৪০১। সর্বোচ্চ ৯০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন রোজিনা রোজী।
প্রচার প্রকাশনা পদে মো. মোহসিন হোসেন ভোট পান ৫৩৬, ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত মিজান চৌধুরী।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন মহিন ৫৮৪ ভোট পান, মো. শরিফুল ইসলাম ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাকসুদা লিসা ৫২৫ ভোট পান মজিবুর রহমান ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির) সর্বোচ্চ ৯২৭ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ৮৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন আক্তারুজ্জামান, ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় বোরহান উদ্দীন, ৭০৯ ভোট পেয়ে আমিনুল হক ভূঁইয়া চতুর্থ, ফারুক আলম ৬৩৬ ভোট পেয়ে পঞ্চম, ৫০৬ ভোট পেয়ে সুমন চৌধুরী ষষ্ঠতম ও সলিম উল্ল্যাহ (এসআই সলিম) ৪০৬ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান ও আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) কল্যাণ সম্পাদক পদে রফিক মৃধা নির্বাচিত হন।
এর আগে, নির্বাচনে ২১ পদের মধ্যে চার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ১৭ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩১ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৪৪ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















