Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রার্থী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলব, আপনারা এই অবৈধ ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরিক হবেন না। ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন ও নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব আয়োজিত এই মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

জনগণের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা শুধু বলেছি, আপনারা দয়া করে ভোট দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার ভোটে কোনো কিছুর কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। এই অন্যায়ে আপনারা সহযোগিতা করবেন না। সরকার নিজে নিজে যেভাবে চেষ্টা করছে করুক, কিন্তু আপনারা এর সাথি হবেন না। আপনি যদি ডাকাতি ঠেকাতে না পারেন, অন্তত ডাকাতদের সঙ্গে যুক্ত হবেন না। ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ।

নজরুল ইসলাম বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেওয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসত। কিন্তু ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি, ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এজন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লাখ-লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন মানে হলো প্রতিদ্বন্দিতা, প্রতিযোগিতা। আর সেটা হয় পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু আগামী ৭ তারিখে যেটা ঘটতে যাচ্ছে, সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সেখানে প্রার্থী হয় ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী, না হয় তাদেরই অনুমোদিত ডামি প্রার্থী, আর না হয় এমন কিছু রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যারা নির্বাচনের আগেই সরকারি দলের যিনি প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পা ছুঁয়ে সালাম করে দোয়া নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। অর্থাৎ, আমি, ডামি এবং আমার লোক। এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা, এটাকে আর যাই হোক নির্বাচন বলা যায় না। এই কারণে এটাকে আমরা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়েছিল, বাকশালের নামে একটি মাত্র দল গঠন করা হয়েছিল, সেই দলের অধীনের নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল এমন। সে সময় নিয়ম ছিল, যেহেতু আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই, সেহেতু বাকশালের পক্ষ থেকেই একাধিক প্রার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে। তারা নির্বাচন করবে। তার মধ্যে যে বেশি ভোট পাবে সেই জিতবে। সেটা সে সময় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন সেটা বাস্তবায়ন করা হলো। এখনো ওই ঘটনাই। তারাই কিছু প্রার্থী ঠিক করে দিচ্ছে। এর মধ্যেই যে বেশি ভোট পাবে, সে জিতবে। বেশি মানে কত? নির্বাচন কমিশনার একজন বলেছেন, যদি শতকরা ১ ভাগ লোকও ভোট দেয়, তার মধ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনিই বিজয়ী হবেন। এটি আর যাই হোক গণতান্ত্রিক অবস্থা না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে এমন কিছু দেখার জন্য এদেশের লাখো মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেয়নি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছিলাম। আমরা এমন একটি দেশের জন্য লড়াই করেছিলাম, যেখানে আমরা যাকে নির্বাচিত করব, জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, তারা দেশ পরিচালনা করবে। কিন্তু ২০১৪-২০১৮ সালে আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আরেকবার আমাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। সেজন্য আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছি, নির্বাচনের নামে পাতানো খেলা, আমি-ডামির নির্বাচন প্রতিহত করুন, বর্জন করুন।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিল মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থায় আর যাই হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারও জনগণকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে সরকার।

যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই, সেখানে জনগণ এমন একটি নির্বাচনী খেলা চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আমরা রাজপথে আছি।

দেশে ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলাম। আর আজ ২ হাজার ২০০ কোটিপতি তৈরি হয়ে গেল। ২২ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে, সরকার তাদের ধরতে পারে না? আসলে ধরে না। কারণ তারা হয় সরকারি দলের অথবা পক্ষের লোক।’

ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহীদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না : নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রার্থী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলব, আপনারা এই অবৈধ ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরিক হবেন না। ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন ও নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব আয়োজিত এই মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

জনগণের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা শুধু বলেছি, আপনারা দয়া করে ভোট দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার ভোটে কোনো কিছুর কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। এই অন্যায়ে আপনারা সহযোগিতা করবেন না। সরকার নিজে নিজে যেভাবে চেষ্টা করছে করুক, কিন্তু আপনারা এর সাথি হবেন না। আপনি যদি ডাকাতি ঠেকাতে না পারেন, অন্তত ডাকাতদের সঙ্গে যুক্ত হবেন না। ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ।

নজরুল ইসলাম বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেওয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসত। কিন্তু ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি, ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এজন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লাখ-লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন মানে হলো প্রতিদ্বন্দিতা, প্রতিযোগিতা। আর সেটা হয় পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু আগামী ৭ তারিখে যেটা ঘটতে যাচ্ছে, সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সেখানে প্রার্থী হয় ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী, না হয় তাদেরই অনুমোদিত ডামি প্রার্থী, আর না হয় এমন কিছু রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যারা নির্বাচনের আগেই সরকারি দলের যিনি প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পা ছুঁয়ে সালাম করে দোয়া নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। অর্থাৎ, আমি, ডামি এবং আমার লোক। এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা, এটাকে আর যাই হোক নির্বাচন বলা যায় না। এই কারণে এটাকে আমরা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়েছিল, বাকশালের নামে একটি মাত্র দল গঠন করা হয়েছিল, সেই দলের অধীনের নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল এমন। সে সময় নিয়ম ছিল, যেহেতু আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই, সেহেতু বাকশালের পক্ষ থেকেই একাধিক প্রার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে। তারা নির্বাচন করবে। তার মধ্যে যে বেশি ভোট পাবে সেই জিতবে। সেটা সে সময় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন সেটা বাস্তবায়ন করা হলো। এখনো ওই ঘটনাই। তারাই কিছু প্রার্থী ঠিক করে দিচ্ছে। এর মধ্যেই যে বেশি ভোট পাবে, সে জিতবে। বেশি মানে কত? নির্বাচন কমিশনার একজন বলেছেন, যদি শতকরা ১ ভাগ লোকও ভোট দেয়, তার মধ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনিই বিজয়ী হবেন। এটি আর যাই হোক গণতান্ত্রিক অবস্থা না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে এমন কিছু দেখার জন্য এদেশের লাখো মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেয়নি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছিলাম। আমরা এমন একটি দেশের জন্য লড়াই করেছিলাম, যেখানে আমরা যাকে নির্বাচিত করব, জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, তারা দেশ পরিচালনা করবে। কিন্তু ২০১৪-২০১৮ সালে আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আরেকবার আমাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। সেজন্য আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছি, নির্বাচনের নামে পাতানো খেলা, আমি-ডামির নির্বাচন প্রতিহত করুন, বর্জন করুন।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিল মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থায় আর যাই হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারও জনগণকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে সরকার।

যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই, সেখানে জনগণ এমন একটি নির্বাচনী খেলা চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আমরা রাজপথে আছি।

দেশে ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলাম। আর আজ ২ হাজার ২০০ কোটিপতি তৈরি হয়ে গেল। ২২ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে, সরকার তাদের ধরতে পারে না? আসলে ধরে না। কারণ তারা হয় সরকারি দলের অথবা পক্ষের লোক।’

ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহীদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।