নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনিয়ম জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু-জাকসুতে একটি নির্দিষ্ট সংগঠনকে জয়ী করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহ্সচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউটে ডিইবি’র অভিষেক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের কিছু মানুষের যোগসাজশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে একচেটিয়া ফলাফল করতে চেয়েছে। প্রশ্ন তোলেন, জাকসুর ব্যালটপেপার একটি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাক্তির প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো নিয়ে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিং হলে তা প্রকাশ পাবেই। দেশের ছাত্ররাজনীতি হচ্ছে উৎসবের মতো পরিস্থিতি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোড অব কনড্যাক্ট তৈরি করলেন। সাবেকরা কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কোনো বিচ্ছি দেশ নাকি। সারাজীবনের যে আকাঙ্ক্ষা সেটা প্রতিফলিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই সাবেক শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটা সম্পর্ক থাকে। কিন্তু ভিসি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকারের কিছু মানুষের সঙ্গে আঁতাতের মধ্য দিয়ে একচেটিয়া নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টা করেছেন।
জাকসু নির্বান নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিলয়ের ব্যালট পেপার ছাপানো হলো একটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে? তাই এমন অনিয়ম দেখে জাবির শিক্ষকরা পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন। সরকারি কোনো প্রেসের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ছাপানো যেত। সেই ব্যালট পেপার ছাপানো হলো ব্যক্তিগত প্রেস থেকে, যে প্রেসের মালিকের সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতক দলের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে গভীর নীল নকশা তৈরি হচ্ছে কি না, যার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে কোনো মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে কি না, সেটা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে শক্তির উত্থান আমরা দেখছি সেটা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। আবার মানুষের ধর্মীয় চেতানার জন্যও বিপজ্জনক। এখানে মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আবার টেলিভিশনে নাটক দেখে, গানও শোনে।
এক পাক্ষিক কিছু করলে সমাজে আরেকটা নতুন ধনের ফ্যাসিবাদের রূপ নেবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় হলো উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির বিকাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনে রাষ্ট্র এবং কর্তৃপক্ষকের আঁতাতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিমূলে গভীর নীল নকশা হচ্ছে কি না, প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, যারা অভ্যুত্থানে ছিলেন, তাদের অনেকেই কিন্তু আরেকটি সংস্কৃতি নিয়ে আসতে চান। সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। দেশের মাটি মিশ্রিত রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্কৃতির চর্চা করে বিএনপি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে চায়। অথচ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক আগেই। মওদুদী মতবাদ প্রচার করতে চাইলে জনগণেরও বক্তব্য রয়েছে।