Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসুতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে শিবির : মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসি, তখন জামায়াত নেতারা সব সময় বলেন, ‘ভাই খেয়াল রাখবেন, আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ এলে সবাই কচুকাটা হয়ে যাবে।’ অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত-শিবির ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে ডাকসুর সব ভোট নিজেদের করে নিয়েছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীকে মোনাফেকের দল উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস দাবি করেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচিতদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যাই হোক, যেভাবেই হোক, ওরা ইলেকশনে পাস করেছে। আমি এই কমিটিকে স্বাগত জানাতে চাই। আশা করব, এই কমিটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে এবং তাদের সিনিয়র নেতারা দেশটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেখান থেকে তাদের যেন রক্ষা করে। একমাত্র বিএনপির হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। আর কেউ তা নিরাপদ রাখতে পারবে না। আমাদের ভুলত্রুটি যাই হয়েছে, সবকিছু সংশোধন করে সামনের কঠিন পরীক্ষায় জয়লাভের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার আমাদের বলেন- ভাই খেয়াল রাইখেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর কোনোদিন আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ ঠেকান সবসময়, আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে। এটা তাদের ডায়ালগ। আমার সেভাবেই করলাম। আর তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট জামায়াত নিয়ে নিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ বিএনপি একটি মাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।

বহুদিন জেল খেটেছি জানিয়ে তিনি বলেন, জেল খাটার এক পর্যায়ে- আমার সাথে নিজামী ও মুজাহিদ সাহেব, ডা. তাহের এরা সকলেই কিন্তু আমার সঙ্গে ছিল একই জেলে। একদিন নিজামী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর আপনি নির্বাচনে কেন গেলেন বলেন তো? নিজে তো গেলেন, আমাদেরও নিয়ে গেলেন। মারলেন তো আমাদেরও। উনি বললেন, আমি ভাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না। পাশে ছিল মুজাহিদ সাহেব। উনি বললেন, আপনি বুঝবেন না কেন গেছি।

তিনি আরো বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য এই, ওই নির্বাচন কিন্তু ওনাদের ফাঁসির দিকে নিয়ে গেল। তারপরও দেখেন আওয়ামী লীগের সাথে তাদের প্রেম কিন্তু ছোটে না। এখনো আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে। এই নির্বাচনেও ভারতে বসে বসে তারা ইন্সট্রাকশন দিয়েছে জামায়াতকে ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করলে পরে আর কোনো সমস্যা থাকে না জামায়াতে ইসলামের। আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে বসে বলবে, এই যে মৌলবাদীরা এসে গেছে। সুতরাং এই দেশটাকে দখল করতে হবে। এরকম চিন্তাভাবনা আওয়ামী লীগের ভেতরে আছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।

মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, নোমান ভাই শ্রমিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ওনার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ওনার মতো একজন ভালো রাজনৈতিক সহকর্মী পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট। এখন যারা রাজনৈতিক নেতারা আছেন, তারা আমার কথা বুঝতে পারবেন, কী বলতে চাচ্ছি। আবার অনেকে বুঝতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানে যারা বসে আছেন তারা তিলে তিলে অনুভব করবেন, নোমান ভাইয়ের মতো একজন সহকর্মী পাওয়া রাজনীতিতে কতটা দুষ্কর। কিন্তু আল্লাহর রহমত হয়েছিল তাই আমরা পেয়েছিলাম নোমান ভাইকে। একসঙ্গে কারাগারে ছিলাম। একসঙ্গে মিছিল, রাজপথে আন্দোলন করেছি, হাসিনাকে উৎখাত করেছি, বহু স্মৃতি নোমান ভাইয়ের সঙ্গে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি, নোমান ভাইয়ের মতো বিএনপিতে আরও নতুন নতুন মানুষের জন্ম হবে।

বিএনপি, দেশ ও দেশের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপিই একটি মাত্র দল, যাদের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের মানুষের জান-মাল নিরাপদ। আপনি বলতে পারেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির লোকজন অনেক অত্যাচার করছে ইত্যাদি। কথাটা সঠিক নয়, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ অপকর্ম করেছে। আবার জামায়াতের সঙ্গে মিলেও আওয়ামী লীগ অপকর্ম করছে। তাই সব দোষ বিএনপির উপর আসছে। আর বিএনপির ছেলেরা কিছুই বুঝে না আমি বলবো না, তারা সবই বুঝে। তবে এই লোভ সামলাতে পারেনি হয়তো।

আব্দুল্লাহ আল নোমান শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডাকসুতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে শিবির : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসি, তখন জামায়াত নেতারা সব সময় বলেন, ‘ভাই খেয়াল রাখবেন, আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ এলে সবাই কচুকাটা হয়ে যাবে।’ অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত-শিবির ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে ডাকসুর সব ভোট নিজেদের করে নিয়েছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীকে মোনাফেকের দল উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস দাবি করেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্বাচিতদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যাই হোক, যেভাবেই হোক, ওরা ইলেকশনে পাস করেছে। আমি এই কমিটিকে স্বাগত জানাতে চাই। আশা করব, এই কমিটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে এবং তাদের সিনিয়র নেতারা দেশটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেখান থেকে তাদের যেন রক্ষা করে। একমাত্র বিএনপির হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। আর কেউ তা নিরাপদ রাখতে পারবে না। আমাদের ভুলত্রুটি যাই হয়েছে, সবকিছু সংশোধন করে সামনের কঠিন পরীক্ষায় জয়লাভের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার আমাদের বলেন- ভাই খেয়াল রাইখেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর কোনোদিন আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ ঠেকান সবসময়, আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচু কাটা করবে। এটা তাদের ডায়ালগ। আমার সেভাবেই করলাম। আর তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট জামায়াত নিয়ে নিয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ বিএনপি একটি মাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনাফেকের দল। এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।

বহুদিন জেল খেটেছি জানিয়ে তিনি বলেন, জেল খাটার এক পর্যায়ে- আমার সাথে নিজামী ও মুজাহিদ সাহেব, ডা. তাহের এরা সকলেই কিন্তু আমার সঙ্গে ছিল একই জেলে। একদিন নিজামী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর আপনি নির্বাচনে কেন গেলেন বলেন তো? নিজে তো গেলেন, আমাদেরও নিয়ে গেলেন। মারলেন তো আমাদেরও। উনি বললেন, আমি ভাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না। পাশে ছিল মুজাহিদ সাহেব। উনি বললেন, আপনি বুঝবেন না কেন গেছি।

তিনি আরো বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য এই, ওই নির্বাচন কিন্তু ওনাদের ফাঁসির দিকে নিয়ে গেল। তারপরও দেখেন আওয়ামী লীগের সাথে তাদের প্রেম কিন্তু ছোটে না। এখনো আওয়ামী লীগের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে। এই নির্বাচনেও ভারতে বসে বসে তারা ইন্সট্রাকশন দিয়েছে জামায়াতকে ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করলে পরে আর কোনো সমস্যা থাকে না জামায়াতে ইসলামের। আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে বসে বলবে, এই যে মৌলবাদীরা এসে গেছে। সুতরাং এই দেশটাকে দখল করতে হবে। এরকম চিন্তাভাবনা আওয়ামী লীগের ভেতরে আছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।

মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, নোমান ভাই শ্রমিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ওনার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ওনার মতো একজন ভালো রাজনৈতিক সহকর্মী পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট। এখন যারা রাজনৈতিক নেতারা আছেন, তারা আমার কথা বুঝতে পারবেন, কী বলতে চাচ্ছি। আবার অনেকে বুঝতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানে যারা বসে আছেন তারা তিলে তিলে অনুভব করবেন, নোমান ভাইয়ের মতো একজন সহকর্মী পাওয়া রাজনীতিতে কতটা দুষ্কর। কিন্তু আল্লাহর রহমত হয়েছিল তাই আমরা পেয়েছিলাম নোমান ভাইকে। একসঙ্গে কারাগারে ছিলাম। একসঙ্গে মিছিল, রাজপথে আন্দোলন করেছি, হাসিনাকে উৎখাত করেছি, বহু স্মৃতি নোমান ভাইয়ের সঙ্গে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি, নোমান ভাইয়ের মতো বিএনপিতে আরও নতুন নতুন মানুষের জন্ম হবে।

বিএনপি, দেশ ও দেশের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপিই একটি মাত্র দল, যাদের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের মানুষের জান-মাল নিরাপদ। আপনি বলতে পারেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির লোকজন অনেক অত্যাচার করছে ইত্যাদি। কথাটা সঠিক নয়, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ অপকর্ম করেছে। আবার জামায়াতের সঙ্গে মিলেও আওয়ামী লীগ অপকর্ম করছে। তাই সব দোষ বিএনপির উপর আসছে। আর বিএনপির ছেলেরা কিছুই বুঝে না আমি বলবো না, তারা সবই বুঝে। তবে এই লোভ সামলাতে পারেনি হয়তো।

আব্দুল্লাহ আল নোমান শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য প্রমুখ।