দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে কারসাজি দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মানি চেঞ্জার ও উঠতি ধনিকশ্রেনী মার্কিন ডলার মজুদ করায় আন্ত:ব্যাংক ও খোলা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে বেশি তারতম্য হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
নজরদারি অব্যাহত থাকলে মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। এদিকে, মুদ্রা বাজার স্বাভাবিক করতে সরকারকে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নিজ গতিতে ছেড়ে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
চাহিদার চেয়ে মার্কিন ডলারের সরবরাহ কম থাকায় দেশের অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ পড়েছে। মুুদ্রা বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে চলতি বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান দফায় দফায় কমিয়েছে সরকার। রপ্তানি আয়ের চেয়ে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। এতে ডলার সঙ্কট দেখা দেয়। এছাড়া কিছু অসাধু লোক ডলার মজুদ করছে বলেও অভিযোগ আছে।
দেশে মোট নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ২শ ৩৫টি। আর অবৈধভাবে ব্যবসা করছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। মুদ্রা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তাই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার সমন্বয়ে কয়েকটি দল। পরিদর্শন করছে মানি একচেঞ্জ ও ব্যাংকগুলো।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মুদ্রা বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ডলারের বিনিময় হার নিজ গতিতে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দিলেন এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
মুদ্রার খোলা বাজার, আন্ত:ব্যাংক বা আমাদানি ব্যয়ে কোন অনিয়ম দেখলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে সরকারে নেয়া উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তিনি।
সরকারের উদ্যোগগুলো কঠোভাবে বাস্তবায়ন হলেই আমদানি ব্যয় ও ডলার সঙ্কট কমে আসবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র।