নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ডলার সংকটের কারণে দেশে গ্যাস বিদ্যুতের সংকট হবে না। যে লোডশেডিং ছিল, তা মোটামুটি কাটিয়ে উঠা গেছে। সামনে আরও কমবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশে গ্যাসের মজুদ পরিস্থিতি এবং ভোলায় গ্যাসের সন্ধান বিষয়ক অপপ্রচার নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ও এডিবির কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে সরকার। এখান থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পাওনা পরিশোধ করে সামনের সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই গ্যাসের যে সম্ভাবনা আছে তা বের করার। গ্যাস উত্তোলনে দেশে আরও ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফাওজুল কবির বলেন, এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং টেন্ডার দেওয়া হবে না। অতীতে যে চুক্তি হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিটি চুক্তিতে ভালো কিছু বিশ্বাসের বিষয় থাকে। কিন্তু কোথাও কোথাও ধোকা দেওয়ার বিষয় রয়েছে। তাই দুটি কমিটি করা হয়েছে যা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে। লোডশিডিং কয়েকদিন বেড়েছিলে। এখন কাটিয়ে উঠেছি।
আমদানি করা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমদানি করা বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের কাছেও এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হবে।
রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, চুক্তি বলবৎ থাকায় রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। চাইলেই চুক্তি বাতিল করা যায় না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলায় ৫.১ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে দুই টিসিএফ গ্যাস মজুদ আছে।
এদিন, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেছেন উপদেষ্টা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসপ্রম, এস আলম, সামিট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এনিয়ে গঠিত নতুন কমিটি তদন্ত করবে। শ্বেতপত্র কমিটিও এ নিয়ে কাজ করছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে, এক্ষেত্রে দুর্নীতি তদন্ত করা হবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে আরও ১০০টা কূপ খনন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো গ্যাস কূপনখনন বা প্রকল্প করতে দেওয়া হবে না।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম ও অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাসপ্রমের খননের মাধ্যমে ভোলায় ৫.১ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। এটা ঠিক নয়। প্রমাণিত দুই টিসএফ গ্যাস মজুদ আছে।