Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের ছাড় দেওয়া হবে না : রেলমন্ত্রী

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

ঈদযাত্রায় মানুষের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই, রেলকে ধ্বংস করতে চাই।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে একটা টিকেট ৫০০ টাকার পরিবর্তে, যদি ৭০০ টাকা দেন তাহলে সেটি কালোবাজারি। এবার ট্রেনে টিকেট কালোবাজিরা করার সুযোগ নাই। কিছুদিন আগে একটি চক্র ট্রেনে নাশকতা করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। আসন্ন ঈদটা এবার যাত্রীদের ভালোই কাটবে। তারা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় ফরিদপুর-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ বিক্রি করে দিয়েছিলো কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই রেলের দায়িত্ব নিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আমরা আটশত থেকে সাড়ে ৮ শত ইঞ্জিনসহ ট্রেনের বগি আমদানী করার চেষ্টা করছি। সেগুলো আমদানী করতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

জিল্লুল হাকিম বলেন, আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই উন্নতি তো সবার পছন্দ না। অনেকেই ষড়যন্ত্র করে এই উন্নতিকে পিছিয়ে দিতে চাই, স্থবির করে দিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।

এ সময় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের ছাড় দেওয়া হবে না : রেলমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

ঈদযাত্রায় মানুষের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই, রেলকে ধ্বংস করতে চাই।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে একটা টিকেট ৫০০ টাকার পরিবর্তে, যদি ৭০০ টাকা দেন তাহলে সেটি কালোবাজারি। এবার ট্রেনে টিকেট কালোবাজিরা করার সুযোগ নাই। কিছুদিন আগে একটি চক্র ট্রেনে নাশকতা করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। আসন্ন ঈদটা এবার যাত্রীদের ভালোই কাটবে। তারা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় ফরিদপুর-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ বিক্রি করে দিয়েছিলো কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই রেলের দায়িত্ব নিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আমরা আটশত থেকে সাড়ে ৮ শত ইঞ্জিনসহ ট্রেনের বগি আমদানী করার চেষ্টা করছি। সেগুলো আমদানী করতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

জিল্লুল হাকিম বলেন, আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই উন্নতি তো সবার পছন্দ না। অনেকেই ষড়যন্ত্র করে এই উন্নতিকে পিছিয়ে দিতে চাই, স্থবির করে দিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।

এ সময় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী প্রমুখ।