Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

বৈঠকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

জেলেনস্কি ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বিনিময়ের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন।

ফক্স নিউজের উপস্থাপক এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কি মনে করেন ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত? জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি, আমি আমেরিকান জনগণকে সম্মান করি। আমার মনে হয় আমাদের খুব খোলামেলা এবং খুব সৎ হতে হবে এবং আমি নিশ্চিত নই যে আমরা খারাপ কিছু করেছি।’

আত্মবিশ্বাসী জেলেনস্কি মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। কারণ এটি দুই রাষ্ট্রপতির চেয়ে বেশি সম্পর্ক। এটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক, আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক।

শুক্রবার শুরুতে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনায় হঠাৎ করেই চিৎকার-চেঁচামেচিতে রূপ নেয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের জন্য তিরস্কার করেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, জেলেনস্কি কিয়েভকে দেওয়া সমস্ত সহায়তার জন্য দেশটিকে কখনও ধন্যবাদ জানাননি।

বৈঠকের পর নির্ধারিত একটি সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয় এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং ইউক্রেনীয় খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানও ভেস্তে যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

বৈঠকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

জেলেনস্কি ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বিনিময়ের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন।

ফক্স নিউজের উপস্থাপক এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কি মনে করেন ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত? জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি, আমি আমেরিকান জনগণকে সম্মান করি। আমার মনে হয় আমাদের খুব খোলামেলা এবং খুব সৎ হতে হবে এবং আমি নিশ্চিত নই যে আমরা খারাপ কিছু করেছি।’

আত্মবিশ্বাসী জেলেনস্কি মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। কারণ এটি দুই রাষ্ট্রপতির চেয়ে বেশি সম্পর্ক। এটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক, আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক।

শুক্রবার শুরুতে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনায় হঠাৎ করেই চিৎকার-চেঁচামেচিতে রূপ নেয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের জন্য তিরস্কার করেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, জেলেনস্কি কিয়েভকে দেওয়া সমস্ত সহায়তার জন্য দেশটিকে কখনও ধন্যবাদ জানাননি।

বৈঠকের পর নির্ধারিত একটি সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয় এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং ইউক্রেনীয় খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানও ভেস্তে যায়।