Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া মহাসড়কে ধুলাবালিতে ভোগান্তি যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গোপালগঞ্জের টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জাতীয় মহাসড়ক উন্নীতকরণের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। আর এতে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে,  রাস্তার বিভিন্ন স্থানে আগের অংশ ভেঙে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা, নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের গতি কম থাকায় যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি। উন্নয়নমূলক কাজ চলায় ধুলাবালিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সড়কটি ব্যবহারকারীদের এবারের ঈদযাত্রা যেন ভোগান্তির স্মৃতি হয়ে থাকছে যাত্রীদের কাছে। তাই দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

২০২০ সালের জুন মাসে ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণের জন্য অনুমোদন দেয় একনেক। কিন্তু, দরপত্র আহ্বানসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এরপরই শুরু হয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ। সড়কটির বর্তমান প্রশস্থতা ধরা হয়েছে ৩৪ ফুট। কিন্তু শম্বুকগতিতে সড়কের কাজ চলায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। এমনকি প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। এছাড়া পানি না দেওয়ায় সড়ক জুড়ে ধূলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগার কথা থাকলেও এমন পরিস্থিতির কারণে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া পণ্য ও কৃষিপণ্য পরিবহন চলাচল করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।

সিংগা গ্রামের বিচরণ মণ্ডল বলেন, সাতপাড় থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছি। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সারা শরীরে ব্যথা হয়ে গেছে। এছাড়া দ্বিগুণ সময় লেগেছে।

গান্ধিয়াশুর গ্রামের সুর্নিমল দাস বলেন, সড়কটির উন্নয়নমূলক কাজের ধীর গতি হওয়ায় মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এখন তারা সবাই এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়।

ট্রাকচালক খোকন ফলিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে মালামাল বহন করা এখন দুর্বিষহ যন্ত্রণা হয়ে পড়েছে। প্রায়ই যানবহন বিকল হয়ে যায়। সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ হলে এই ভোগান্তি থেকে সবাই মুক্তি পাবে।

বাসচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই সড়কে বাস চালাতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম ঈদের আগে মানুষ এই ভোগান্তির হাত রেহাই পাবে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। দ্রুত জনগন এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাক সেই আশা করি।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, সড়কটি সম্প্রসারণে কাজ শেষ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া মহাসড়কে ধুলাবালিতে ভোগান্তি যাত্রীদের

প্রকাশের সময় : ০৩:২০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গোপালগঞ্জের টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জাতীয় মহাসড়ক উন্নীতকরণের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। আর এতে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে,  রাস্তার বিভিন্ন স্থানে আগের অংশ ভেঙে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা, নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের গতি কম থাকায় যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি। উন্নয়নমূলক কাজ চলায় ধুলাবালিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সড়কটি ব্যবহারকারীদের এবারের ঈদযাত্রা যেন ভোগান্তির স্মৃতি হয়ে থাকছে যাত্রীদের কাছে। তাই দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

২০২০ সালের জুন মাসে ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণের জন্য অনুমোদন দেয় একনেক। কিন্তু, দরপত্র আহ্বানসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এরপরই শুরু হয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ। সড়কটির বর্তমান প্রশস্থতা ধরা হয়েছে ৩৪ ফুট। কিন্তু শম্বুকগতিতে সড়কের কাজ চলায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। এমনকি প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। এছাড়া পানি না দেওয়ায় সড়ক জুড়ে ধূলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগার কথা থাকলেও এমন পরিস্থিতির কারণে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া পণ্য ও কৃষিপণ্য পরিবহন চলাচল করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।

সিংগা গ্রামের বিচরণ মণ্ডল বলেন, সাতপাড় থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছি। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সারা শরীরে ব্যথা হয়ে গেছে। এছাড়া দ্বিগুণ সময় লেগেছে।

গান্ধিয়াশুর গ্রামের সুর্নিমল দাস বলেন, সড়কটির উন্নয়নমূলক কাজের ধীর গতি হওয়ায় মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এখন তারা সবাই এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়।

ট্রাকচালক খোকন ফলিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে মালামাল বহন করা এখন দুর্বিষহ যন্ত্রণা হয়ে পড়েছে। প্রায়ই যানবহন বিকল হয়ে যায়। সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ হলে এই ভোগান্তি থেকে সবাই মুক্তি পাবে।

বাসচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই সড়কে বাস চালাতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম ঈদের আগে মানুষ এই ভোগান্তির হাত রেহাই পাবে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। দ্রুত জনগন এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাক সেই আশা করি।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, সড়কটি সম্প্রসারণে কাজ শেষ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা আছে।