Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জন উদ্ধার

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জন অপহৃতকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান বিজিবি।

শনিবার (১০ মে) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে টেকনাফ সদর দক্ষিণ লম্বরী এলাকার কুখ্যাত মানব পাচারচক্রের হোতা সাইফুলের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে বিজিবি।

পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে ১৪ জন উদ্ধারকৃত ব্যাক্তি বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মানবপাচার ও অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। এসব অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণের পর জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, তাদেরকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেটা তালাবদ্ধ ছিল। পরে তালা ভেঙে তাদেরকে জিম্মি-ঘর থেকে বের করা হয়। মূলত, এদের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত অনেকেই এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছে।

আশিকুর রহমান বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশে তাদের অপহরণ করা হয়েছে- তা জানতে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধার হওয়া মো. কাসেম ও মহিন উদ্দিন জানান, আমরা ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে তাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে তাদের মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

টেকনাফে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জন উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:০০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জন অপহৃতকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান বিজিবি।

শনিবার (১০ মে) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে টেকনাফ সদর দক্ষিণ লম্বরী এলাকার কুখ্যাত মানব পাচারচক্রের হোতা সাইফুলের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে বিজিবি।

পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে ১৪ জন উদ্ধারকৃত ব্যাক্তি বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মানবপাচার ও অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। এসব অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণের পর জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, তাদেরকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেটা তালাবদ্ধ ছিল। পরে তালা ভেঙে তাদেরকে জিম্মি-ঘর থেকে বের করা হয়। মূলত, এদের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত অনেকেই এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছে।

আশিকুর রহমান বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশে তাদের অপহরণ করা হয়েছে- তা জানতে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধার হওয়া মো. কাসেম ও মহিন উদ্দিন জানান, আমরা ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে তাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে তাদের মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া।