নিজস্ব প্রতিবেদক :
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ১ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হয়। এটাকে যখন ডিজিটাইজড করেছি তখন দেখেছি ৩৭ লাখ কার্ডধারী ভুয়া। বৃহৎ কিছু প্রতিষ্ঠান টিসিবির টেন্ডারে অংশ নিতে পারে। টিসিবির আকার, পেমেন্ট পলিসি, টিসিবির আর্থিক অবকাঠামো চলছে বাণিজ্যিক ঋণে, যা টেকসই নয়।
তিনি বলেন, সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলেই আন্দোলন হয়েছে। যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় করই গুরুত্বপূর্ণ। এবং আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর প্রয়োগ করা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে টিসিবির টিকিট সাইজও ছোট করার চেষ্টা চলছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যের দাম বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো সম্ভব। তবে এখন টিসিবির পণ্যের দাম বাড়ানো হলে ব্যাপক সমালোচনা হবে। এই চিন্তাগুলো সাহসের সঙ্গে করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে টিসিবির পণ্যের মূল্য সমন্বয় করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। আমরা রাজনীতিবিদ না। আমরা কী দীর্ঘমেয়াদে ১৭৫-১৮০ টাকায় তেল কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করব, নাকি ১২৫-১৩০ টাকা করে ১ কোটির জায়গায় দেড় কোটি বা ২ কোটি টাকায় প্রসারিত করব। এই চিন্তাগুলো আমাদের সাহসের সঙ্গে করতে হবে। যদি তা না করি তাহলে আমরাও একই বৃত্তে থেকে যাব।
কাল যদি আমরা টিসিবির পণ্যের দাম বাড়াই, ‘অফকোর্স দেন ইউ গেট বোম্বাডেট ইন টু এ ডিফারেন্ট লেভেল’ বলেন এই উপদেষ্টা।
টিসিবির সেবাগ্রহীতা কমানোর কথা বলে তিনি বলেন, আমরা টিকিট সাইজ ছোট করার চেষ্টা করছি। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। যাতে টিসিবি যে পণ্যটা কেনে সেটির মানটা ভালো হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।