স্পোর্টস ডেস্ক :
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স খেলোয়াড়দের উইকেট উদ্যাপন। ছবি: বিসিবিশেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৩৩ রান। সেই সমীকরণ আর মেলানো সম্ভব হয়নি দুর্দান্ত ঢাকার। হেরেছে ১০ রানে। এ নিয়ে টানা ১১ ম্যাচ হারলেন তাসকিন আহমেদরা। আর এ জয়ে এবারের বিপিএলের প্লে অফের আশও বাঁচিয়ে রাখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে ওঠে এসেছে তারা।
প্লে অফে জেতে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচটি চট্টগ্রামের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ঢাকা। তাতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি ঢাকার। শুভাগত হোমের দুই বলে ফিরে যান অ্যাডাম রসিংটন এবং সাব্বির হোসেন। দুজনেই ফিরেছেন ক্যাচ আউটের ফাঁদে। ঢাকাকে আরও চেপে ধরতে পারত চট্টগ্রাম। তবে শুভাগতের বলেই অ্যালেক্স রসের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তানজিদ তামিম। খানিক পরেই নাইম শেখের ক্যাচ ছাড়া হয় বাউন্ডারি লাইনে। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ঢাকার হয়ে রান করেন অ্যালেক্স রস, পুরো টুর্নামেন্টের মতোই। ৪৪ বলে ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল। বিলাল খানের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ২২ রানের সমীকরণে আনেন ইরফান শুক্কুর। শেষ ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকান মোসাদ্দেকও।
কিন্তু শেষ অবধি আর ভালো শেষ হয়নি ঢাকার। শেষ ওভারে ১১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ৫ চারে ১৮ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৮ বলে ১৪ রান করেন ইরফান। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শুভাগত। একটি করে উইকেট পান বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল ইসলাম।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার সৈকত আলি আউট হয়ে যান। স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিয়ে জশ ব্রাউনকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ১৪ বলে ১১ রান করেন ব্রাউন।
২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন টম ব্রুস ও তানজিদ হাসান তামিম। ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের জুটি ভাঙেন উইলিয়ামস। তার বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন ব্রুস।
চট্টগ্রামের পরের ব্যাটাররা কেউই সেভাবে দলের হাল ধরতে পারেননি। তানজিদ হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে আউট হন ১৯তম ওভারে। ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫১ বলে ৭০ রান করেন তানজিদ। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শরিফুল, দুটি উইকেট নেন তাসকিনও। তবে ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৮ রান। একটি করে উইকেট পান মোসাদ্দেক ও উইলিয়ামস।