স্পোর্টস ডেস্ক :
দিল্লির গত ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএলে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই ম্যাচে বল হাতে এক উইকেট পেলেও ছিলেন খরুচে। এমন পারফরম্যান্সের পরও দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মুস্তাফিজের ওপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিলেন এই পেসার। ম্যাচটাও বাজেভাবে হারলো দিল্লি, যা তাদের টানা পঞ্চম হার।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে পারে দিল্লি। ফলে ২৩ রানে জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে অফের পথ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেল দিল্লি।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার পৃথ্বী শ’র উইকেট হারায় দিল্লি। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের ওভারে ডাক মারেন মিচেল মার্শও। দিল্লি তৃতীয় ধাক্কা খায় পরের ওভারে। ২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় দিল্লি। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। বরং উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে।
দলকে বিপর্যয়ে ফেলে দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও বিদায় নেন দ্রুতই। এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৯ রান। এরপর ৮০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় দিল্লি। একের পর এক উইকেট পতনের মাঝে প্রায় একাই লড়াই করলেন মনিশ পান্ডে। ৩৮ বলে ৫০ রান করে তিনি যখন বিদায় নেন দিল্লির সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ৯৮ রান। মাঝে অক্ষর প্যাটেলের ১৪ বলে ২১ রান ও শেষদিকে এনরিখ নরকিয়ার ১৪ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বেঙ্গালুরু। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি মিলে তুলে ফেলেন ৪২ রান। ডু প্লেসি ১৬ বলে ২২ রান করে বিদায় নিলেও কোহলি ফিফটি তুলে নেন। ৩৪ বলে ৫০ রান করে বিদায় নেন কোহলি। এরপর ম্যাক্সওয়েলের ১৪ বলে ২৪ ও শাহবাজ আহমেদের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু।
তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন দিল্লির অধিনায়ক ওয়ার্নার। বল হাতে মোস্তাফিজ নিজের প্রথম ওভারে খরচ করেন ১০ রান। ১০ম ওভারে ফের বল হাতে নিয়ে ১৯ রান খরচ করেন কাটার মাস্টার। হজম করেন দুটি ছক্কাও। এরপর ১৯তম ওভারে ফের বোলিংয়ে ফেরেন মোস্তাফিজ। কিন্তু এবারও ব্যর্থ তিনি। খরচ করেন ১২ রান। সবমিলিয়ে ৩ ওভার বল করে ৪১ রান খরচে উইকেটশূন্য থাকেন মোস্তাফিজ।