আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এদিন সন্ধ্যা ৭টার একটু পর শুরু হয় মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। এর কিছুক্ষণ পরই রাষ্ট্রপতির কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন মোদি। এরপর একে একে শপথ পড়েন মন্ত্রিসভার আরও বেশ কয়েকজন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি নতুন সরকারের একাধিক মন্ত্রীও শপথ নিচ্ছেন। এবার ৭২ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন মোদি। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর, মনোহরলাল খট্টর, নির্মলা সীতারামন, শিবরাজ সিংহ চৌহান, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, জেপি নাড্ডা।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলসে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সোয়াত এবং এনএসজির কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ রাজধানীকে একটি ‘নো-ফ্লাই’ জোন ঘোষণা করেছে। এছাড়া আগামী কয়েক দিন ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, রিমোটচালিত উড়োজাহাজ এবং গ্যাসভর্তি বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শপথগ্রহণ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে আট হাজারের বেশি অতিথির জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এরইমধ্যে তাদের আসন গ্রহণ করেন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এবং সেশেলসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল (প্রচণ্ড), মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএর জয়ের পর রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠানে বিপুল সংখ্যক আমন্ত্রিতের সামনে শপথ নেন মোদি। ২৬ মে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
২০১৯ সালের ৩০ মে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একই স্থানে শপথ নেন মোদি। শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবারও সেই একই জায়গায় শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 























