নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘ভারতের টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) স্বত্ব নেওয়া তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরিভিত্তিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মিটিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কাঁচা পাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, পাটচাষ নিশ্চিতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতে এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পাটখাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















