টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার চার গ্রামের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার হয়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী নারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যোগাযোগের বিকল্পপথ না থাকায় গ্রামবাসীদের এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুই ব্যবহার করতে হয়।
উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের লৌহজং নদীর শাখার ওপর নির্মিত এই কাঠের সেতু দিয়ে শেরপুর, মিরপুর,পোষনা ও ঘড়িয়া গ্রামবাসীকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে সেতুটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তারা জানায়, সেতুর কাঠ ভিজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সামান্য ঝাঁকুনিতেই দুলে ওঠে। এতে সবসময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।
ঘড়িয়া গ্রামের রিকশাচালক মামুন বলেন, দুই এক বছর পর পর কাঠের সেতু ঠিক করতে হয়। বেশি ওজন হলেই সেতু দুলে ওঠে। আমাদের রিকশা চালাতে খুব ভয় লাগে। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত স্থায়ী সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
একই গ্রামের মোরশদুল ইসলাম বলেন, পাকা সেতু না থাকায় গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসও ঢুকতে পারে না। রাতের আধারে বৃদ্ধ মানুষ চলাচল করতে পারে না। একটি পাকা সেতুর অভাব আমাদের অবহেলিত করে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আশপাশের গ্রামীণ রাস্তাগুলো মোটামুটি ব্যবহারযোগ্য হলেও স্থায়ী সেতুর অভাবে তাদের চলাচলে চরম ভোগান্তি হয়। বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও কৃষিজীবীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের লিখিত আবেদন পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি 
























