রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
রংপুরে আটকের পর টাকার বিনিময়ে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হারাগাছ থানার এক এএসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে এএসআই (নিরস্ত্র) রনি মিয়া এবং কনস্টেবল তরিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় হারাগাছ থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে না জানিয়ে এএসআই রনি মিয়া ও কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা হারাগাছ পৌর শহরের পশ্চিম পোদ্দারপাড়া বাঁধের পাড় এলাকায় ৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আবুল কালাম নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ওসিকে না জানিয়ে সাড়ে ১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেন তারা। পরে বিষয়টি প্রকাশ হলে রাতেই রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল।
পরে এই খবর পেয়ে রাতেই হারাগাছ থানায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এএসআই রনি ও কনস্টেবল তরিকুলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে এএসআই রনি মিয়া বলেন, মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। পুলিশ দেখে পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে ওসিকে জানানো হয়নি। থানায় ফিরে গিয়ে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু তার আগেই ওসি স্যার জানতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সোহেল সাক্ষাৎকারে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, হারাগাছ থানা থেকে দুইজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।