স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপে যে টাইমড আউট নিয়ে এত আলোচনা সেটির রেশ এখনও রয়ে গেছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ‘প্রমাণ’ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই প্রমাণ অবশেষে দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দাবি করেছেন, নিয়ম অনুযায়ী যে দুই মিনিটের কথা বার বার বলা হয়েছে। সেটি পার হতে ৫ সেকেন্ড বাকি ছিল।
সাবেক টুইটার তথা এক্স-এ নিজের অ্যাকাউন্টে জোড়া লাগানো দুটি ছবি পোস্ট করেছেন ম্যাথুজ। সেখানে আগের ব্যাটারের আউটের পর থেকে তার হেলমেট স্ট্র্যাপের যে সমস্যা ধরা পড়েছে সেটির সময় দেখানো হয়েছে।
মূলত চতুর্থ আম্পায়ার হোল্ডস্টক ম্যাচের মাঝে যে দাবিটি করেছিলেন, সেটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন লঙ্কান ক্রিকেটার। হোল্ডস্টক জানিয়েছিলেন, হেলমেটের সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই দুই মিনিট পার হয়ে যায় ম্যাথুজের, ‘টিভি আম্পায়ার এই দুই মিনিট সময়ের খেয়াল রাখেন এবং তা মাঠের আম্পায়ারদের জানান। এই ঘটনায় (হেলমেটের সমস্যা) স্ট্র্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়ার আগেই দুই মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল এবং ব্যাটসম্যান বল খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না।
যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ম্যাথুজ। এক্সে তিনি লিখেছেন, চতুর্থ আম্পায়ার এই জায়গায় ভুল ছিলেন। ভিডিও বলছে, হেলমেট খুলে ফেলার পরও আমার হাতে আরও ৫ সেকেন্ড সময় ছিল। এখন কি চতুর্থ আম্পায়ার এই ভুল সংশোধন করবে? আমি বলতে চাচ্ছি, নিরাপত্তা সবার আগে। কারণ হেলমেট ছাড়া কোনও বোলারের মুখোমুখি তো হতে পারি না।
সংবাদ সম্মেলনেও ম্যাথুজ দাবি করেছেন যে, আম্পায়াররা তাদের কোচিং স্টাফের কাছে নাকি ভুল স্বীকার করেছেন। আগের আউটের পর ম্যাথুজের হেলমেট স্ট্র্যাপের ঘটনায় কতসময় পার হয়েছে, সেটা চেক না করে ভুল করেছিলেন তারা।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাথিউস জানিয়েছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। তিনি বলেন, ‘আমি ভুল কিছু করিনি। নিজেকে তৈরি করে ক্রিজে যাওয়ার জন্য আমার হাতে ২ মিনিট সময় ছিল এবং সেটা আমি করেছি। আমার (হেলমেট) সরঞ্জামে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানি না কাণ্ডজ্ঞান কোথায় হারাল। অবশ্যই সাকিব ও বাংলাদেশের জন্য এটা লজ্জাজনক। যদি ওরা এভাবেই খেলতে চায় এবং এত নিচে নামে, আমার মনে হয় ওদের কোথাও একটা বড়সড় ঝামেলা আছে।
টাইগারদের কান্ডজ্ঞানের প্রশ্ন তুলে ম্যাথিউস এরপর বলেন, ‘হেলমেটটা ভেঙে যাওয়ার পরও হাতে ৫ সেকেন্ডের মতো সময় ছিল। আমি বোঝাতে চাইছি, আমি শুধু হেলমেটটা পাল্টাতে চাইছিলাম। তাই এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের (কমন সেন্স) ব্যাপার। আমি মানকাডিং কিংবা অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড নিয়ে কথা বলছি না। এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের ব্যাপার, যেটার অনুপস্থিতি খেলাটায় অসম্মান বয়ে এনেছে। এটা ভীষণ লজ্জার।
প্রমাণ সহ পরে এ নিয়ে তারা বিবৃতি দিবেন জানিয়ে ম্যাথিউস বলেন, ‘আজকের (গতকাল) দিন পর্যন্ত তার ও বাংলাদেশ দলের জন্য আমার সর্বোচ্চ সম্মানটাই ছিল। আমরা সবাই জেতার জন্যই খেলি এবং সেটা নিয়মের ভেতরে থেকেই জেতার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ (গতকাল) আমার ঘটনায় নিয়মই বলছে, আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই (ক্রিজে) ছিলাম। আমাদের কাছে ভিডিও আছে। আমরা এ নিয়ে পরে বিবৃতি দেব। ভিডিও থেকে ফুটেজের প্রমাণও আছে। আমি এখানে শুধু কথার কথা বলছি না, প্রমাণ নিয়েই বলছি।’