Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকারে সেভিয়াকে হারিয়ে ইউরো সুপার চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাফল্যের ভেলায় ভেসেই চলছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটি। গেল মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটি এবার বছরের চতুর্থ শিরোপা জিতলো পেপ গার্দিওলার দল। উয়েফা সুপার কাপে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে সিটিজেনরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর শিরোপা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে সেভিয়াকে কাঁদিয়ে আরেকবার শিরোপা হাত করে সিটি।

একচেটিয়া খেলেছে ম্যানসিটি। ৭৪ ভাগ বলের দখল ছিলো তাদের কাছে। সেভিয়ার মাত্র ২৬ ভাগ। সেভিয়ার গোলমুখে একের পর এক শট নিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সব মিলিয়ে ২৩টি। অন্যদিকে সেভিয়া শট নিয়েছে ৮টি। কিন্তু দুই দলই কাজে লাগাতে পেরেছে ১টি করে শট।

শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ালো টাইব্রেকারে এবং ভাগ্যের খেলায় শেষ পর্যন্ত জয় পেলো ম্যানচেস্টার সিটিই। ৫-৪ ব্যবধানে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতে নিলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। সেভিয়ার শেষ শটটি বারে মেরে দিয়েই পরাজয় বরণ করে নেন নেমানজা গুদেলজ।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে মৌসুমের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় উয়েফা সুপার কাপ। এক ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র ফাইনালই অনুষ্ঠিত হয়। এবার গ্রিসের পিরাইউসের আত্তিকায় জর্জিওস কারাইসকাকিস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি থেকে আরও একটি শিরোপা জয় করেই ঘরে ফিরেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

ট্রেবল জয়ের পর তাদের মুকুটে যোগ হলো চতুর্থ শিরোপা। আর বাকি থাকলো কেবল ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা যেমন এবারই প্রথম জয় করেছে সিটিজেনরা, তেমনই প্রথম জয় করলো তারা উয়েফা সুপার কাপও। ২০১৬ সালে ম্যানসিটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ নিয়ে ১৫তম শিরোপা জিতলেন কোচ পেপ গার্দিওলা।

তবে ম্যাচটা গার্দিওলা খুব সহজে জিতেছেন এমন বলার অবকাশ নেই। ইকাই গুন্দোয়ানের বার্সায় চলে যাওয়া, কেভিন ডি ব্রুইনার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি সিটিকে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে রেখেছিল। মাতেও কোভাচিচ, রদ্রি আর কোল পালমারদের রসায়ন এখনও জমেনি বলে শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রিসের দাবানল পরবর্তী গরম। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিরতিও দেওয়া হয়েছিল।

সেই বিরতিই হয়ত কাজে দিয়েছে প্রতিপক্ষ সেভিয়ার জন্য। কুলিং ব্রেকের পরেই এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়েই মার্কাস আকুনাকে পাস দেন ওকাম্পোস। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আকুনা এরপর দিয়েছেন দারুণ এক ক্রস। লাফিয়ে উঠে বল জালে জড়ান ইউসুফ এল নাসেরি (১-০)।

বিরতির আগে আর তেমন সুযোগই পায়নি সিটিজেন্সরা। তবে বিরতির পরেই অবশ্য দেখা গেল ভিন্ন চেহারার এক সিটিকে। সেই ম্যানসিটি খেলেছে ভয়ানক এক ফুটবল। তাদের অতি আক্রমণাত্মক ধারার কারণেই কিনা সহজ কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগ পেয়ে যায় সেভিয়া। তাতে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি। আগেরবার গোল করলেও এবার মিস করে বসেন এল নাসেরি।

৬৩ মিনিটে এর বদলাও নিয়ে ফেলে সিটি। কোল পালমারের গোলের সুবাদে ম্যাচে সমতায় ফেরে ইংলিশ ক্লাবটি। ডানপ্রান্ত থেকে রদ্রির দেয়া নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার (১-১)। এফএ কমিউনিটি শিল্ডের পর আরও একটি ফাইনালে করলেন সিটির মান বাঁচানোর গোল।

শেষপর্যন্ত ৯০ মিনিটে ফলাফল ছিল সমতায়। উয়েফার নতুন নিয়মে যেখান থেকে হয়েছে পেনাল্টি। প্রথম নয় শটে গোল পেয়েছেন সকলেই। সিটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন আর্লিং হলান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ আর কাইল ওয়াকার। বিপরীতে সেভিয়ার ওকাম্পোস, রাফা মির, রাকিতিচ এবং মন্তিয়েল গোল করলেও মিস করেন নেমানিয়া গুলেদি। আর তাতেই ইউরোপসেরার চক্রপূরণ করলো ম্যানচেস্টার সিটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

টাইব্রেকারে সেভিয়াকে হারিয়ে ইউরো সুপার চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাফল্যের ভেলায় ভেসেই চলছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটি। গেল মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটি এবার বছরের চতুর্থ শিরোপা জিতলো পেপ গার্দিওলার দল। উয়েফা সুপার কাপে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে সিটিজেনরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর শিরোপা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে সেভিয়াকে কাঁদিয়ে আরেকবার শিরোপা হাত করে সিটি।

একচেটিয়া খেলেছে ম্যানসিটি। ৭৪ ভাগ বলের দখল ছিলো তাদের কাছে। সেভিয়ার মাত্র ২৬ ভাগ। সেভিয়ার গোলমুখে একের পর এক শট নিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সব মিলিয়ে ২৩টি। অন্যদিকে সেভিয়া শট নিয়েছে ৮টি। কিন্তু দুই দলই কাজে লাগাতে পেরেছে ১টি করে শট।

শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ালো টাইব্রেকারে এবং ভাগ্যের খেলায় শেষ পর্যন্ত জয় পেলো ম্যানচেস্টার সিটিই। ৫-৪ ব্যবধানে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতে নিলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। সেভিয়ার শেষ শটটি বারে মেরে দিয়েই পরাজয় বরণ করে নেন নেমানজা গুদেলজ।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে মৌসুমের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় উয়েফা সুপার কাপ। এক ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র ফাইনালই অনুষ্ঠিত হয়। এবার গ্রিসের পিরাইউসের আত্তিকায় জর্জিওস কারাইসকাকিস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি থেকে আরও একটি শিরোপা জয় করেই ঘরে ফিরেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

ট্রেবল জয়ের পর তাদের মুকুটে যোগ হলো চতুর্থ শিরোপা। আর বাকি থাকলো কেবল ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা যেমন এবারই প্রথম জয় করেছে সিটিজেনরা, তেমনই প্রথম জয় করলো তারা উয়েফা সুপার কাপও। ২০১৬ সালে ম্যানসিটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ নিয়ে ১৫তম শিরোপা জিতলেন কোচ পেপ গার্দিওলা।

তবে ম্যাচটা গার্দিওলা খুব সহজে জিতেছেন এমন বলার অবকাশ নেই। ইকাই গুন্দোয়ানের বার্সায় চলে যাওয়া, কেভিন ডি ব্রুইনার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি সিটিকে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে রেখেছিল। মাতেও কোভাচিচ, রদ্রি আর কোল পালমারদের রসায়ন এখনও জমেনি বলে শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রিসের দাবানল পরবর্তী গরম। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিরতিও দেওয়া হয়েছিল।

সেই বিরতিই হয়ত কাজে দিয়েছে প্রতিপক্ষ সেভিয়ার জন্য। কুলিং ব্রেকের পরেই এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়েই মার্কাস আকুনাকে পাস দেন ওকাম্পোস। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আকুনা এরপর দিয়েছেন দারুণ এক ক্রস। লাফিয়ে উঠে বল জালে জড়ান ইউসুফ এল নাসেরি (১-০)।

বিরতির আগে আর তেমন সুযোগই পায়নি সিটিজেন্সরা। তবে বিরতির পরেই অবশ্য দেখা গেল ভিন্ন চেহারার এক সিটিকে। সেই ম্যানসিটি খেলেছে ভয়ানক এক ফুটবল। তাদের অতি আক্রমণাত্মক ধারার কারণেই কিনা সহজ কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগ পেয়ে যায় সেভিয়া। তাতে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি। আগেরবার গোল করলেও এবার মিস করে বসেন এল নাসেরি।

৬৩ মিনিটে এর বদলাও নিয়ে ফেলে সিটি। কোল পালমারের গোলের সুবাদে ম্যাচে সমতায় ফেরে ইংলিশ ক্লাবটি। ডানপ্রান্ত থেকে রদ্রির দেয়া নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার (১-১)। এফএ কমিউনিটি শিল্ডের পর আরও একটি ফাইনালে করলেন সিটির মান বাঁচানোর গোল।

শেষপর্যন্ত ৯০ মিনিটে ফলাফল ছিল সমতায়। উয়েফার নতুন নিয়মে যেখান থেকে হয়েছে পেনাল্টি। প্রথম নয় শটে গোল পেয়েছেন সকলেই। সিটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন আর্লিং হলান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ আর কাইল ওয়াকার। বিপরীতে সেভিয়ার ওকাম্পোস, রাফা মির, রাকিতিচ এবং মন্তিয়েল গোল করলেও মিস করেন নেমানিয়া গুলেদি। আর তাতেই ইউরোপসেরার চক্রপূরণ করলো ম্যানচেস্টার সিটি।