Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ৪ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু, মা-বাবা দগ্ধ

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মহানগরের টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে চারমাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে শিশুটির বাবা ও মা।

রোববার (৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে পূবাইল ইউনিয়নের মীরের বাজার এলাকার একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

নিহত শিশুটির নাম রায়হান। আহতরা হলেন, মোহাম্মদ রিপন (২৫) ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ হাফিজা আক্তার (২০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জার ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী থেকে শিশুসহ তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শিশুটির বাবার শরীরের ৮০ শতাংশ এবং মায়ের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

রিপনের ভাই রাসেল মাহমুদ বলেন, রিপনের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে মীরের বাজারের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি প্রাণ-আরএফএলে চাকরি করতেন।

রাসেল বলেন, ওই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে আগুন ধরে যায়। গ্যাসের লাইন লিক করায় গ্যাস জমেছিল বলে শুনেছি। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার ভাতিজাটা মারা গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেতা হয়েছেন শুধু ভোটের জন্য নয়, পথ দেখানোর দায়িত্বও আপনার : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ৪ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু, মা-বাবা দগ্ধ

প্রকাশের সময় : ০১:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মহানগরের টঙ্গীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে চারমাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে শিশুটির বাবা ও মা।

রোববার (৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে পূবাইল ইউনিয়নের মীরের বাজার এলাকার একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

নিহত শিশুটির নাম রায়হান। আহতরা হলেন, মোহাম্মদ রিপন (২৫) ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ হাফিজা আক্তার (২০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জার ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী থেকে শিশুসহ তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শিশুটির বাবার শরীরের ৮০ শতাংশ এবং মায়ের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

রিপনের ভাই রাসেল মাহমুদ বলেন, রিপনের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে মীরের বাজারের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি প্রাণ-আরএফএলে চাকরি করতেন।

রাসেল বলেন, ওই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে আগুন ধরে যায়। গ্যাসের লাইন লিক করায় গ্যাস জমেছিল বলে শুনেছি। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার ভাতিজাটা মারা গেছে।