Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চ বন্ধে বিপাকে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যাত্রী সঙ্কটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল থেকে সুন্দরবন-১২ ও ফারহান-৭ নামের দুটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি ঘাট থেকে চাঁদপুর ও ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেত। আবার ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসত একটি লঞ্চ। হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। এ ছাড়াও ঘাটে দিনমজুরের কাজ করা শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যেই সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে পুরো লঞ্চঘাট এলাকা, ঠিক সেই সময় সুনসান জনমানবশূন্য বিশালাকৃতির দুটি টার্মিনাল। ঈদকে সামনে রেখে ঘাটসংলগ্ন দোকানিরাও বেচা-বিক্রি করতে না পেরে হতাশ। লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।

এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন বলেন, ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে আমাদের লাষ্ট ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে ২/৩ টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়। তাই এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়ছে। কবে নাগাদ লঞ্চ চালু হতে পারে সেই প্রশ্নে সবুজ বলেন, ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চ চলবে, তবে ঈদের পর আবারও রুটটি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুন্দরবন নেভিগেশন কম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী হ্রাস পাওয়ায় লঞ্চের ব্যবসায় কিছুটা মন্দা যাচ্ছিল। তবে তাতে লোকসানে পড়তে হয়নি। কিন্তু দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পুরো ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ে। ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে গত সপ্তাহে পৌনে দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চ বন্ধ রেখেছি।

লঞ্চঘাট এলাকার চা দোকানি আবু হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং সুলতান হাওলাদার জানান, লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর তাদের দোকানে মালামাল বিক্রি হয় না। সারাদিনে যে কয় টাকা বিক্রি হয় তা দিয়ে কিস্তির টাকা ওঠে না। ঈদকে সামনে রেখে সবাই হিমশিম খাচ্ছে।

ঘাটের শ্রমিকদেরও একই আকুতি। তারা বলছেন, লঞ্চ বন্ধ থাকলে তাদের পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ থাকে। দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা পরিবারের জন্য ইফতারসামগ্রীও জোগাতে পারছেন না।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চ বন্ধে বিপাকে যাত্রীরা

প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যাত্রী সঙ্কটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল থেকে সুন্দরবন-১২ ও ফারহান-৭ নামের দুটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি ঘাট থেকে চাঁদপুর ও ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেত। আবার ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসত একটি লঞ্চ। হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। এ ছাড়াও ঘাটে দিনমজুরের কাজ করা শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যেই সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে পুরো লঞ্চঘাট এলাকা, ঠিক সেই সময় সুনসান জনমানবশূন্য বিশালাকৃতির দুটি টার্মিনাল। ঈদকে সামনে রেখে ঘাটসংলগ্ন দোকানিরাও বেচা-বিক্রি করতে না পেরে হতাশ। লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।

এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন বলেন, ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে আমাদের লাষ্ট ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে ২/৩ টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়। তাই এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়ছে। কবে নাগাদ লঞ্চ চালু হতে পারে সেই প্রশ্নে সবুজ বলেন, ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চ চলবে, তবে ঈদের পর আবারও রুটটি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুন্দরবন নেভিগেশন কম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী হ্রাস পাওয়ায় লঞ্চের ব্যবসায় কিছুটা মন্দা যাচ্ছিল। তবে তাতে লোকসানে পড়তে হয়নি। কিন্তু দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পুরো ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ে। ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে গত সপ্তাহে পৌনে দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চ বন্ধ রেখেছি।

লঞ্চঘাট এলাকার চা দোকানি আবু হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং সুলতান হাওলাদার জানান, লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর তাদের দোকানে মালামাল বিক্রি হয় না। সারাদিনে যে কয় টাকা বিক্রি হয় তা দিয়ে কিস্তির টাকা ওঠে না। ঈদকে সামনে রেখে সবাই হিমশিম খাচ্ছে।

ঘাটের শ্রমিকদেরও একই আকুতি। তারা বলছেন, লঞ্চ বন্ধ থাকলে তাদের পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ থাকে। দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা পরিবারের জন্য ইফতারসামগ্রীও জোগাতে পারছেন না।