আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে একটি জ্বালানি ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আঞ্চলিক রাজধানী স্টেপানাকার্টের একটি জ্বালানি স্থাপনায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। মাত্র ২৫ ঘণ্টার অভিযানে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয় আজেরি বাহিনী। এর পর হাজার হাজার আর্মেনিয়ান জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ এলাকাটি থেকে পালাতে শুরু করে।
স্থানীয় আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় আঞ্চলিক রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে জ্বালানি স্টোরেজ ডিপোতে বিস্ফোরণে ২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিস্ফোরণে আহত আরও ২৯০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বহু মানুষের শারীরিক অবস্থা ‘এখনও গুরুতর’। অবশ্য বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রয়টার্স স্টেপানাকার্ট থেকে প্রায় ৬ কিমি (৩.৭ মাইল) দূরে বার্কাডজোর অঞ্চলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ভবন এবং কাঠামোর অবস্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের সময়টি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি বার্তাসংস্থাটি।
নাগোরনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্তৃপক্ষের মতে, আজারবাইজানের গত ১০ মাসের অবরোধের সময় ওই অঞ্চলে খাদ্য ও পানির ব্যাপক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে বহু লোক বিস্ফোরণস্থলে জড়ো হয়েছিল।
গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সেনারা আক্রমণ চালালে রাশিয়ার পাঁচজন শান্তিরক্ষী এবং ২০০ জন জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং আজারবাইনের বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে (জাতিগত নিধন) এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।
আজারবাইজান বলছে, যে তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদেরকে ‘সমান নাগরিক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্মেনিয়ার সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।