Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্বালানির অভাব ৭৭টি ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের অবস্থা যেন ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’ না হলে বিদেশ ভ্রমণে ভাতা পাবেন না আমলারা। এবার খবর পাওয়া গেল, জ্বালানির অভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক-অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ৭৭টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকারি বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)।

পিআইএ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, রোববার দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে ৮১টি ফ্লাইট উড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল, যেগুলোর মধ্যে ৫২টি আন্তর্জাতিক ও ২৯টি ছিল অভ্যন্তরীণ। পিআইএ’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদিন মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছাড়া বাকি সবগুলো বাতিল করা হয়েছিল।

জানা গেছে, জ্বালানি তেলের বকেয়া মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) থেকে পিআইএকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহ কোম্পানি পাকিস্তান স্টেটস অয়েল (পিএসও)। তাই ফ্লাইট কাটছাঁটে বাধ্য হচ্ছে পিআইএ।

পিআইএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অক্টোবরের ২১ ও ২২ তারিখে জ্বালানি তেলের বকেয়া বাবদ মোট ৫০ কোটি রুপি পিএসওকে দিয়েছে সরকারি এই বিমান সংস্থা, কিন্তু তাতে পুরো বকেয়া পরিশোধ হয়নি।

আরেক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের রাজস্ব বিভাগ পিআইয়ের সব অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দিয়েছে। কারণ তারা সরকারকে রাজস্ব দিতে পারছিল না। গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান অর্থমন্ত্রণালয়ে, পিআইএ ২ হাজার ২৩০ কোটি রুপি সহায়তা চায়। তাছাড়া প্রতি মাসে ১৩০ কোটি রুপি ভর্তুকির আবেদন করেছিল পিআইএ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির দুটি আবেদনিই বাতিল করে দিয়েছে।

এসব বিষয়ে পাকিস্তান অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে পিআইএকে ভর্তুকি দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নতি ঘটলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

এর আগে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পিআইএর বকেয়ার পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার, যা তার মোট সম্পত্তির পাঁচ গুণ বেশি। পাকিস্তানের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বলেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে এয়ারলাইনসটিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

জ্বালানির অভাব ৭৭টি ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের অবস্থা যেন ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’ না হলে বিদেশ ভ্রমণে ভাতা পাবেন না আমলারা। এবার খবর পাওয়া গেল, জ্বালানির অভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক-অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ৭৭টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকারি বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)।

পিআইএ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, রোববার দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে ৮১টি ফ্লাইট উড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল, যেগুলোর মধ্যে ৫২টি আন্তর্জাতিক ও ২৯টি ছিল অভ্যন্তরীণ। পিআইএ’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদিন মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছাড়া বাকি সবগুলো বাতিল করা হয়েছিল।

জানা গেছে, জ্বালানি তেলের বকেয়া মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) থেকে পিআইএকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহ কোম্পানি পাকিস্তান স্টেটস অয়েল (পিএসও)। তাই ফ্লাইট কাটছাঁটে বাধ্য হচ্ছে পিআইএ।

পিআইএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অক্টোবরের ২১ ও ২২ তারিখে জ্বালানি তেলের বকেয়া বাবদ মোট ৫০ কোটি রুপি পিএসওকে দিয়েছে সরকারি এই বিমান সংস্থা, কিন্তু তাতে পুরো বকেয়া পরিশোধ হয়নি।

আরেক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের রাজস্ব বিভাগ পিআইয়ের সব অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দিয়েছে। কারণ তারা সরকারকে রাজস্ব দিতে পারছিল না। গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান অর্থমন্ত্রণালয়ে, পিআইএ ২ হাজার ২৩০ কোটি রুপি সহায়তা চায়। তাছাড়া প্রতি মাসে ১৩০ কোটি রুপি ভর্তুকির আবেদন করেছিল পিআইএ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির দুটি আবেদনিই বাতিল করে দিয়েছে।

এসব বিষয়ে পাকিস্তান অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে পিআইএকে ভর্তুকি দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নতি ঘটলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

এর আগে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পিআইএর বকেয়ার পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার, যা তার মোট সম্পত্তির পাঁচ গুণ বেশি। পাকিস্তানের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বলেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে এয়ারলাইনসটিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।