Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেসুস-এইহিক নৈপুণ্যে চিলিকে হারাল ব্রাজিল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি ব্রাজিলের জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচে শুরুতেই গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সেলেসাওরা। তবে হাল ছাড়েনি। ইগো জেসুস ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর মনে হচ্ছিলো ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ব্রাজিলকে। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে দলকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন লুইস এইহিক।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। এদুয়ার্দো ভার্গাসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান তরুণ ফরোয়ার্ড জেসুস। পরে ম্যাচের শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন ৬৮তম মিনিটে বদলি নামা এইহিক।

নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই দ্বিতীয় মিনিটে গোল হজম করে বসে ব্রাজিল! ফেলিপে লয়লার ক্রসে দূরের পোস্টে জোরাল হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ভার্গাস। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন।

বাছাইয়ে আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরে যাওয়া সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পারেনি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে। তাদের চাপে রেখে আরেকটি গোলের জন্য চেষ্টা করতে থাকে চিলি। চতুর্দশ মিনিটে সফল প্রায় হচ্ছেই যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ড দারিও ওসিরিওর শট শেষ সময়ে বাঁক খেয়ে বেরিয়ে যায়।
চার মিনিট পর ব্রাজিলের ডি বক্সের ঠিক সামনে একটুর জন্য দুর্বল একটি ব্যাক পাসের নাগাল পাননি ওসিরিও। বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।

বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা ব্রাজিলের আক্রমণে ছিল না তেমন কোনো ধার। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে বারবারই তালগোল পাকাচ্ছিলেন রদ্রিগো, সাভিনিয়োরা।

সফরকারীদের বিবর্ণ ফুটবলের মাঝে আশার ঝিলিক ছিলেন জেসুস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তিনিই পথ দেখান দলকে। সাভিনিয়োর চমৎকার ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন বতাফোগোর তরুণ ফরোয়ার্ড।

প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে শুরুর একাদশও জায়গা করা নেওয়া জেসুসের নৈপুণ্যে সমতার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।

প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্েয রাখতে পারে ব্রাজিল। ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে তারা গোলের জন্য শট করতে পেরেছিল নয়টি। স্বাগতিক চিলির তিন শটের একটি ছিল লক্ষ্েয।

আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্বিতীয়ার্ধে চিলিকে চেপে ধরে ব্রাজিল। ৫২তম মিনিটে জালে বলও পাঠায় তারা। কিন্তু রাফিনিয়া অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।

পাঁচ মিনিট পর রদিগ্রো বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। শট নেওয়ার জন্য আরেকটু সামনে যাওয়ার পথে চিলির একজনের চ্যালেঞ্জের মুখে মাটিতে পড়ে যান। তবে ব্রাজিলিয়ানদের প্রবল দাবিতেও পেনাল্টি দেননি আর্জেন্টাইন রেফারি দারিও এররেরা। এর আগে প্রথমার্ধে চিলিরও একটি জোরাল পেনাল্টি আবেদনে সাড়া দেননি তিনি।

৭৪তম দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেসুস। ডি বক্সে একটুর জন্য দানিলোর বাড়ানো বলের নাগাল পাননি তিনি। বল ধরতে গিয়ে চিলি গোলরক্ষক তালগোল পাকালেও সুযোগটা নিতে পারেননি রাফিনিয়া।

৮৯তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন এইহিক। ব্রুনো গিমারাইসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্স থেকে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাম পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। তেমন কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের।

কষ্টের জয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো ব্রাজিল। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে কলম্বিয়া। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চিলির অবস্থান নবম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

জেসুস-এইহিক নৈপুণ্যে চিলিকে হারাল ব্রাজিল

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি ব্রাজিলের জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচে শুরুতেই গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সেলেসাওরা। তবে হাল ছাড়েনি। ইগো জেসুস ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর মনে হচ্ছিলো ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ব্রাজিলকে। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে দলকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন লুইস এইহিক।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। এদুয়ার্দো ভার্গাসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান তরুণ ফরোয়ার্ড জেসুস। পরে ম্যাচের শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন ৬৮তম মিনিটে বদলি নামা এইহিক।

নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই দ্বিতীয় মিনিটে গোল হজম করে বসে ব্রাজিল! ফেলিপে লয়লার ক্রসে দূরের পোস্টে জোরাল হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ভার্গাস। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন।

বাছাইয়ে আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরে যাওয়া সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পারেনি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে। তাদের চাপে রেখে আরেকটি গোলের জন্য চেষ্টা করতে থাকে চিলি। চতুর্দশ মিনিটে সফল প্রায় হচ্ছেই যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ড দারিও ওসিরিওর শট শেষ সময়ে বাঁক খেয়ে বেরিয়ে যায়।
চার মিনিট পর ব্রাজিলের ডি বক্সের ঠিক সামনে একটুর জন্য দুর্বল একটি ব্যাক পাসের নাগাল পাননি ওসিরিও। বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।

বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা ব্রাজিলের আক্রমণে ছিল না তেমন কোনো ধার। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে বারবারই তালগোল পাকাচ্ছিলেন রদ্রিগো, সাভিনিয়োরা।

সফরকারীদের বিবর্ণ ফুটবলের মাঝে আশার ঝিলিক ছিলেন জেসুস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তিনিই পথ দেখান দলকে। সাভিনিয়োর চমৎকার ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন বতাফোগোর তরুণ ফরোয়ার্ড।

প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে শুরুর একাদশও জায়গা করা নেওয়া জেসুসের নৈপুণ্যে সমতার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।

প্রথমার্ধে কেবল একটি শটই লক্ষ্েয রাখতে পারে ব্রাজিল। ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে তারা গোলের জন্য শট করতে পেরেছিল নয়টি। স্বাগতিক চিলির তিন শটের একটি ছিল লক্ষ্েয।

আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্বিতীয়ার্ধে চিলিকে চেপে ধরে ব্রাজিল। ৫২তম মিনিটে জালে বলও পাঠায় তারা। কিন্তু রাফিনিয়া অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।

পাঁচ মিনিট পর রদিগ্রো বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। শট নেওয়ার জন্য আরেকটু সামনে যাওয়ার পথে চিলির একজনের চ্যালেঞ্জের মুখে মাটিতে পড়ে যান। তবে ব্রাজিলিয়ানদের প্রবল দাবিতেও পেনাল্টি দেননি আর্জেন্টাইন রেফারি দারিও এররেরা। এর আগে প্রথমার্ধে চিলিরও একটি জোরাল পেনাল্টি আবেদনে সাড়া দেননি তিনি।

৭৪তম দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেসুস। ডি বক্সে একটুর জন্য দানিলোর বাড়ানো বলের নাগাল পাননি তিনি। বল ধরতে গিয়ে চিলি গোলরক্ষক তালগোল পাকালেও সুযোগটা নিতে পারেননি রাফিনিয়া।

৮৯তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন এইহিক। ব্রুনো গিমারাইসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্স থেকে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাম পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। তেমন কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের।

কষ্টের জয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো ব্রাজিল। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে কলম্বিয়া। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চিলির অবস্থান নবম।