Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেড ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি, প্রভাব পড়তে পারে প্লেনের টিকিটে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হঠাৎ করেই ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেড ফুয়েলের দাম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এই সিদ্ধান্ত সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রুটে প্লেনের টিকিটের দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রতি লিটারে ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯৮ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রতি লিটার ০.৬০৬৬ ডলার থেকে বাড়িয়ে ০.৬৪০১ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেড ফুয়েলের এই দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারণ দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জেট ফুয়েলের ওপর শুল্ককর কমিয়েছে সরকার। জেট এ-১ কেরোসিন টাইপ জেট ফুয়েলের ওপর আরোপ করা শুল্ককর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এরপরও এই দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, একটি এয়ারলাইন্সের কোনো রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিভিন্ন খরচের মধ্যে ফুয়েল খরচ প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে প্লেনের টিকেটের দাম বাড়ে, যাত্রী সংখ্যার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেশীয় এয়ারলাইন্স, দেশের পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে যেখানে এয়ারলাইন্সকে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন, সেখানে জেট ফুয়েলে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে বিমান পরিবহন সংস্থাকে।

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি দেশ যেখানে দেশীয় এয়ারলাইন্সকে টিকেয়ে রাখার জন্য জেট ফুয়েলের মূল্যকে যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করে থাকে সেখানে বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি করে আকাশপথের চলাচলকে কঠিন করে তুলছে।

আর নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান বলেন, একটি উড়োজাহাজের মোট অপারেশনাল কস্টের ৪০ থেকে ৪৬ শতাংশ হচ্ছে ফুয়েল কস্ট। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দামে ফুয়েল কিনতে হচ্ছে। তাতে ওভারঅল কস্ট বাড়ছে, যার কারণে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো ব্যাংক্রাপ্ট হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী ফুয়েলের দাম নির্ধারণের দাবি জানাই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে এখানে বাড়ে, কিন্তু পরে আর কমে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে এখানেও তেলের দাম কমাতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

জেড ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি, প্রভাব পড়তে পারে প্লেনের টিকিটে

প্রকাশের সময় : ১১:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হঠাৎ করেই ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেড ফুয়েলের দাম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এই সিদ্ধান্ত সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রুটে প্লেনের টিকিটের দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রতি লিটারে ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯৮ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রতি লিটার ০.৬০৬৬ ডলার থেকে বাড়িয়ে ০.৬৪০১ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেড ফুয়েলের এই দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারণ দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জেট ফুয়েলের ওপর শুল্ককর কমিয়েছে সরকার। জেট এ-১ কেরোসিন টাইপ জেট ফুয়েলের ওপর আরোপ করা শুল্ককর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এরপরও এই দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, একটি এয়ারলাইন্সের কোনো রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিভিন্ন খরচের মধ্যে ফুয়েল খরচ প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে প্লেনের টিকেটের দাম বাড়ে, যাত্রী সংখ্যার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেশীয় এয়ারলাইন্স, দেশের পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে যেখানে এয়ারলাইন্সকে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন, সেখানে জেট ফুয়েলে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে বিমান পরিবহন সংস্থাকে।

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি দেশ যেখানে দেশীয় এয়ারলাইন্সকে টিকেয়ে রাখার জন্য জেট ফুয়েলের মূল্যকে যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করে থাকে সেখানে বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি করে আকাশপথের চলাচলকে কঠিন করে তুলছে।

আর নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান বলেন, একটি উড়োজাহাজের মোট অপারেশনাল কস্টের ৪০ থেকে ৪৬ শতাংশ হচ্ছে ফুয়েল কস্ট। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দামে ফুয়েল কিনতে হচ্ছে। তাতে ওভারঅল কস্ট বাড়ছে, যার কারণে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো ব্যাংক্রাপ্ট হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী ফুয়েলের দাম নির্ধারণের দাবি জানাই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে এখানে বাড়ে, কিন্তু পরে আর কমে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে এখানেও তেলের দাম কমাতে হবে।