Dhaka মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের : খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং এজন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এজন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবত আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনও কোনও বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার শামিল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সরকারই দায়ী থাকবে। সরকারকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।

জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নয় জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা অংশ নিতে পারছে না, তারা বিশৃঙ্খলা করছে। সরকারকে সতর্ক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নয়।

নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তারাই এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই— আমরা সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের সময় নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকতে পারে। রাজপথে নয়।

সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাক্ষর হয়েছে। সেই সনদের বিভিন্ন দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট আছে। সনদে বলাও আছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিজেদের নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে এখনও বিএনপি শতভাগ একমত আছে, আমরা এখনও সনদের বাইরে যাইনি।

‘কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের যে উপায়গুলো দিয়েছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্টগুলো উল্লেখ নেই। সেখানে শুধু ৮৪টি প্রস্তাব আছে। আর জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে বিএনপি নির্বাচনের দিনেই গণভোটে রাজি হয়েছিল। সেই জায়গায় এখনও আমরা আছি।’

‘এখন স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য অযৌক্তিক এবং নতুন নতুন দাবি ও আন্দোলন করছে, সেই ব্যাপারে তাদেরকে…। স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, সেটা সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিক দল মানতে বাধ্য নয়, সেই বার্তা দেওয়ার জন্য আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন,’ বলেন সালাহউদ্দিন।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর গণভোট ও পিআর নিয়ে জামায়াতের চলমান আন্দোলন কেন, সেটি জামায়াত বলতে পারবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান44

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিতি ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বগুড়ায় তোজাম্মেল হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

জুলাই সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের : খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং এজন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এজন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবত আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনও কোনও বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার শামিল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সরকারই দায়ী থাকবে। সরকারকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।

জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নয় জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা অংশ নিতে পারছে না, তারা বিশৃঙ্খলা করছে। সরকারকে সতর্ক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নয়।

নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তারাই এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই— আমরা সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের সময় নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকতে পারে। রাজপথে নয়।

সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাক্ষর হয়েছে। সেই সনদের বিভিন্ন দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট আছে। সনদে বলাও আছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিজেদের নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে এখনও বিএনপি শতভাগ একমত আছে, আমরা এখনও সনদের বাইরে যাইনি।

‘কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের যে উপায়গুলো দিয়েছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্টগুলো উল্লেখ নেই। সেখানে শুধু ৮৪টি প্রস্তাব আছে। আর জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে বিএনপি নির্বাচনের দিনেই গণভোটে রাজি হয়েছিল। সেই জায়গায় এখনও আমরা আছি।’

‘এখন স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য অযৌক্তিক এবং নতুন নতুন দাবি ও আন্দোলন করছে, সেই ব্যাপারে তাদেরকে…। স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, সেটা সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিক দল মানতে বাধ্য নয়, সেই বার্তা দেওয়ার জন্য আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন,’ বলেন সালাহউদ্দিন।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর গণভোট ও পিআর নিয়ে জামায়াতের চলমান আন্দোলন কেন, সেটি জামায়াত বলতে পারবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান44

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিতি ছিলেন।