Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই বিপ্লবে আহতদের মধ্যে ১শ’ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আপাতত ১০০ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সিআইডিতে আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না তবে একেক জন একেকভাবে আহত হয়েছেন। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে কিছু জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নিব। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি পরবর্তীতে আমরা এই সংখ্যাটা আরও বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমরা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব।

তিনি বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থী কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাবে কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মত পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিং এর বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে আমরা সময়টা কম দিয়েছি । তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধান কে সবথেকে বেশি ইন্সট্রাকশন (নির্দেশ) দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধান কে বলেছি তিনি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। বিগত সরকারের আমলে মানিলন্ডারিং সবথেকে বেশি হয়েছে। আমি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানিলন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন যেন দ্রুত দেয়।

তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোন কার্যকারিতা থাকে না।

উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকেই দেশ ত্যাগ করার সুযোগ পেয়েছে যার বড় কারণ ছিল সেসময় সরকার ছিল না। তবে সরকার গঠনের পর যারা দেশ ত্যাগ করেছেন তাদের বিষয়ে অধিক তদন্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে যেমন আছে, সেটার আরও উন্নতি হতে হবে। এটা আমাদেরও আশা, আপনাদেরও আশা। এটার যাতে আরও উন্নতি হয়, সেজন্য সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত পাঁচ মাসে অর্জন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন ৫ মাসে আগে আমাদের পুলিশ, আনসার ও বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর অবস্থা কী ছিল। তার থেকে এখন অবস্থা ভালো হয়নি?। আগের থেকে ডেভেলপ করেছি।

র‌্যাব বিলুপ্তি প্রসঙ্গে এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলার আরো এক আসামী গ্রেফতার

জুলাই বিপ্লবে আহতদের মধ্যে ১শ’ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:১৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আপাতত ১০০ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সিআইডিতে আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না তবে একেক জন একেকভাবে আহত হয়েছেন। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে কিছু জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নিব। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি পরবর্তীতে আমরা এই সংখ্যাটা আরও বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমরা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব।

তিনি বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থী কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাবে কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মত পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিং এর বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে আমরা সময়টা কম দিয়েছি । তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধান কে সবথেকে বেশি ইন্সট্রাকশন (নির্দেশ) দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধান কে বলেছি তিনি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। বিগত সরকারের আমলে মানিলন্ডারিং সবথেকে বেশি হয়েছে। আমি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানিলন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন যেন দ্রুত দেয়।

তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোন কার্যকারিতা থাকে না।

উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকেই দেশ ত্যাগ করার সুযোগ পেয়েছে যার বড় কারণ ছিল সেসময় সরকার ছিল না। তবে সরকার গঠনের পর যারা দেশ ত্যাগ করেছেন তাদের বিষয়ে অধিক তদন্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে যেমন আছে, সেটার আরও উন্নতি হতে হবে। এটা আমাদেরও আশা, আপনাদেরও আশা। এটার যাতে আরও উন্নতি হয়, সেজন্য সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত পাঁচ মাসে অর্জন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন ৫ মাসে আগে আমাদের পুলিশ, আনসার ও বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর অবস্থা কী ছিল। তার থেকে এখন অবস্থা ভালো হয়নি?। আগের থেকে ডেভেলপ করেছি।

র‌্যাব বিলুপ্তি প্রসঙ্গে এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’