Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে : সিইসি

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। আর এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে শুরু হলো ভোটার হালনাগাদ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ ভোটার হালনাগাদ। যেদিন ভোটাররা নির্ভয়ে নিজের ভোট দিতে পারবেন পছন্দের প্রার্থীকে, সেদিনই ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এ দেশের জনগণ।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটের বাক্স যেন কেউ দখল করতে না পারে। ভোটের দিন যেন কেউ ভোটকেন্দ্র দখল না করতে পারে, সেজন্য জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেদিন মানুষ নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, ইসি সেদিন মনে করবে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে- ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্যে এক হতে পারি না? কেন্দ্র পাহারা দেব, কেন্দ্র দখল করতে দিব না; অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। (ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।

ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে নাসির উদ্দিন বলেন, যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, ফ্রিলি-ফেয়ারলি ও ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে।

ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙালি ফাইট করতে জানে। বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে- আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ভোটে ব্যাপক কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাতে মানুষ যে ভোট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন নাসির।

তিনি বলেন, মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। তরুণ অনেকে আমার সাথে দেখা করতে এলে বলে, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের আমি ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শুরু হল। এ সুযোগ সদ্ব্যবহারের যাত্রা শুরু হলো; লং জার্নি। ভোটার ক্যাম্পেইন থেকে আরম্ভ করে পছন্দের ভোট দেওয়া, ভোট গণনা করে প্রার্থী যে হোক, ভোট দেওয়া- এ পুরো জার্নিতে আমি আপনাদের সাথে চাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব, কে এ আলী নেওয়াজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রহমানেল মাছউদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। আর এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে শুরু হলো ভোটার হালনাগাদ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ ভোটার হালনাগাদ। যেদিন ভোটাররা নির্ভয়ে নিজের ভোট দিতে পারবেন পছন্দের প্রার্থীকে, সেদিনই ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এ দেশের জনগণ।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটের বাক্স যেন কেউ দখল করতে না পারে। ভোটের দিন যেন কেউ ভোটকেন্দ্র দখল না করতে পারে, সেজন্য জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেদিন মানুষ নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, ইসি সেদিন মনে করবে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে- ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্যে এক হতে পারি না? কেন্দ্র পাহারা দেব, কেন্দ্র দখল করতে দিব না; অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। (ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।

ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে নাসির উদ্দিন বলেন, যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, ফ্রিলি-ফেয়ারলি ও ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে।

ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙালি ফাইট করতে জানে। বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে- আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ভোটে ব্যাপক কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাতে মানুষ যে ভোট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন নাসির।

তিনি বলেন, মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। তরুণ অনেকে আমার সাথে দেখা করতে এলে বলে, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের আমি ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শুরু হল। এ সুযোগ সদ্ব্যবহারের যাত্রা শুরু হলো; লং জার্নি। ভোটার ক্যাম্পেইন থেকে আরম্ভ করে পছন্দের ভোট দেওয়া, ভোট গণনা করে প্রার্থী যে হোক, ভোট দেওয়া- এ পুরো জার্নিতে আমি আপনাদের সাথে চাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব, কে এ আলী নেওয়াজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রহমানেল মাছউদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।