কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
জুলাই-আগস্টে নিহতদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জুলাই-আগস্টে নিহতদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্পষ্ট করতে চাই, আমাদের কারও ওপর দায়বদ্ধতা নেই। শুধু জুলাই-আগস্টের নিহত এবং যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ছাড়া। তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ভারতের আদানি কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি হচ্ছে আন্তর্জাতিক চুক্তি। এটা হুট করেই বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। বিগত সময়ে বিভিন্ন চুক্তি হয়েছে যা দেশের স্বার্থে হয়নি। আপনারা জানেন, ২০১০ সালের আইনের অধীনে অনেক অন্যায় করা হয়েছে, যার ফলে আমরা এই আইন বাতিল করেছি।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে এসবের জন্য সাবেক বিচারপতি মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা আছেন, ওনারা এসব বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এই কমিটি আদানি কোম্পানিসহ সাতটি বিষয়ে কাজ করতেছেন। ওনারা কাজ শেষে যে গাইডলাইন দেবেন তার ওপর ভিত্তি করে আমরা চিন্তা করব কার সঙ্গে চুক্তি রাখব আর কার সঙ্গে চুক্তি রাখব না।
তিনি বলেন, হাওরে উপজেলার সাথে একদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে সংযোগ আরেক দিকে সিলেটের সাথে সংযোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব। এখন থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না। মানুষের সাথে কথা বলে মানুষ যেটা চায়, মানুষ যেটা প্রয়োজনবোধ আমরা সেটাই করব।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘন ঘন বন্যার প্রকোপ নিয়ে তিনি বলেন, নদী নিয়মিত ড্রেজিং না হওয়ায় পলি জমার কারণে বন্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।